উত্তর কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের লোকসভা ভোটে জিতলে নয় নয় করে নবম বার ভোটে জয়ী হবেন। গত ৩২ বছরের মধ্যে আটবার তিনি উত্তর কলকাতা এলাকা থেকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। মাঝে একবার, ২০০৪ সালের লোকসভা ভোট ছাড়া প্রতিবার জিতেও এসেছেন। এর মধ্যে লোকসভায় হবে মোট পাঁচবার, তারমধ্যে তিনবার একটানা। কখনও লোকসভা, কখনও বিধানসভা নির্বাচনে। এবার জিতলে লম্বা জয়ের ওই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ফের জয়ের লক্ষ্যে, উত্তর কলকাতা লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের বড় রাস্তা থেকে ছোট অলিগলি প্রচারপর্বে চষে ফেলেছেন সুদীপবাবু।
তৃণমূল মজবুত সংগঠন উত্তর কলকাতার সাতটি বিধানসভার পাশাপাশি পুরসভার ৬০টির মধ্যে ৫০টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে। প্রচার যুদ্ধে দলকে অনেকটা এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে গত মঙ্গলবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর রোড শো চলাকালীন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা নিয়ে বিজেপি কিছুটা চাপের মধ্যে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জোড়াসাঁকো বিধানসভা এলাকার মধ্যেই। সুদীপবাবু নিশ্চিত, গত লোকসভার তুলনায় তাঁর জয়ের মার্জিন অনেকটা বাড়বে। উত্তর কলকাতায় এই কেন্দ্রে মোট ২১ জন প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম কংগ্রেসের শাহিদ ইমাম। উত্তর কলকাতা লোকসভার ভোটারদের প্রায় ২৫ শতাংশ মুসলিম। মূলত ওই ভোটের দিকে তাকিয়ে এই আইনজীবী প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস। তবে তৃণমূল নিশ্চিত, এবারও সংখ্যালঘুরা তাদের পাশেই থাকবে।
উত্তর-পূর্ব কলকাতা ও উত্তর-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্র ডিলিমিটেশনে সংযুক্ত হয়ে ২০০৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়। ২০০৯ থেকে এখানে তৃণমূলের গড় অটুট রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। বামেদের টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। ২০০৯-এর তুলনায় বিজেপি-র ভোট ২১ শতাংশ বাড়লেও ৯৬ হাজার ভোটে সুদীপবাবুর কাছে হেরে যান। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে পরিস্থিতি ফের পাল্টে যায়। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল জিতে যায়। জোড়াসাঁকো ছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলিতে জয়ের ব্যবধানও ছিল প্রচুর।