অমিত শাহর রোড শো থেকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অথচ তৃণমূলের ওপর সমস্ত দায় চাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রচার সভা থেকে বলেছেন, ‘ওই একই জায়গায় বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে তৃণমূলকে কড়া জবাব দেবে বিজেপি। বিদ্যাসাগর কলেজের একই জায়গায় ওই মূর্তি বানানো হবে’। এমনকী দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যেই আগুনে ঘি পড়েছে। ক্ষেপে উঠেছেন বাংলার মানুষ। ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁদের প্রশ্ন, মোদী-শাহরা বাঙালিদের ভেবেছেটা কী? বাঙালিরা তাঁদের নিজেদের মনীষীর মূর্তি নিজেরাই বানিয়ে নিতে পারবে। তার জন্য বিজেপির প্রয়োজন হবে না। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আসলে যে বাংলাকে কাঙাল বলেছে সেই অমিত শাহর কথায় চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেন মোদী। তাই ‘বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি’ বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাঙালিকে আরও একবার অপমান করা হল। আর সেটা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই।
মোদীর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তাঁদের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার কী রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন কলেজে এরকমভাবে মূর্তি গড়তে পারে? এমনকী দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেছেন মোদী। সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন পুলিশ যে মামলার তদন্ত করছে, তা কি রাজ্য সরকারের অনুমতি ব্যতিত কেন্দ্র ব্যবস্থা নিতে পারে? তাঁদের মতে, বাংলাকে কবজা করতে না পেরে এবারের সরাসরি হুমকির রাস্তা ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।