আজ প্রচারের শেষ দিনে ডায়মন্ডহারবারে নির্বাচনী সভা করলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চ থেকে অভিষেক জানালেন, “আমরা ওখানেই ৫০ ফুটের বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানাবো”। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের মূর্তিও বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ উত্তর প্রদেশের মৌ-এর এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, যথা স্থানে পঞ্চধাতুর মূর্তি প্রতিস্থাপন করবে তাদের সরকার। পালটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, “আমরা কেন নেব ওদের মূর্তি”? এই প্রসঙ্গেই অভিষেক বলেছেন, “ ওদের দয়ার দরকার নেই। আমরা নিজেরাই ওই স্থানে মূর্তি বানিয়ে নেব। ওরা যেভাবে গুন্ডামি করেছে বাংলার বুকে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না”।
আজ বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়কে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “আপনি নিজেই বলছেন এটা আমার এলাকা। তাহলে মানছেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি, “২৩ তারিখের পর আপনার বাড়ির চাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে থাকবে।” এ দিন নরেন্দ্র মোদীকেও এক হাত নেন অভিষেক। বলেন, “শুনলাম, আমাদের দলের পার্টি অফিসে তালা ঝোলাবেন বলেছেন। কাল থেকে আমার বাপ বাপান্তও করছেন।” চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, হারলে কান ধরে উঠবস করবো, না হলে আপনি করবেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে মোদীকে আইনি নোটিস পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সভামঞ্চ থেকে আজ মোদীর দুর্নীতির বিরুদ্ধেও সরব হন অভিষেক। মোদীর আমলে মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদের হাল খারাপ হওয়া, বেকারত্ব বৃদ্ধি এই সব কিছু নিয়েই বিজেপিকে কটাক্ষ করেন ডায়মন্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ। বিজেপির এই সেনার নামে ভোটভিক্ষা করাও যে অত্যন্ত রুচিহীনতার পরিচয় তাও স্পষ্ট করে বলেন অভিষেক। আজকের সভার এই স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস আবার প্রমাণ করল মোদীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে মানুষ আছে তৃণমূলের পাশেই।