এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে অন্যতম রাজ্য, যেখানে ভোট প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম দিন থেকেই নির্বাচন কমিশন সেই রাজ্যের প্রধান সচিব এবং পুলিশ কমিশনার সহ ঊর্ধ্বতন অফিসারদের অপসারণ করেছে। এর আগে বাংলায় ৪২ আসনে সাত দফায় ভোট করানো নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে তামিলনাড়ুতে ৩৯ টা আসনে ভোট হয় মাত্র এক দফায়।
যদিও এইক্ষেত্রে কমিশন যুক্তি দিয়েছিলো, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে ও ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এই পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা। আর এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সপ্তম দফার ভোটের দুদিন আগেই এখানে প্রচার বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
তৃণমূলের অন্দরমহলে এই নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। ভোটের ঠিক তিনদিন আগে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কেন সরানো হল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে? কমিশনের গতিবিধি নিয়ে অত্রি ভট্টাচার্য দুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কমিশনের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন, বাংলায় কমিশন মূলত বিজেপির হয়ে কাজ করছে। মনে করা হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাকে অপসারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমিত শাহ এর রোড শো এর ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, কেন কমিশন সেদিনের ঘটনা নিয়ে নিজস্ব ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করছে না? যদিও এই নিয়ে কমিশন কিছু বলতে চায়নি।
ভারতী ঘোষের বহিরাগত লোক ঢোকানোর বিষয়টি নিয়েও কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তাঁরা। কিছুদিন আগে কেশপুরের জনসভায় বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি উত্তর প্রদেশ থেকে ১০০০ এর বেশি ছেলে বাংলায় ঢোকাবেন। কমিশনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ, এই নিয়েও তাঁরা কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই সবার কাছেই বিষয়টি একেবারে জলের মতোই পরিষ্কার যে মোদীকে সুবিধা কে দিতেই নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলগুলিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।