বাংলায় ভোটের ভোটের প্রচারের সময় একদিন কমিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তাঁর মতে, চাপের মুখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেসও বলেছে, নির্বাচন কমিশন স্বাধিকার হারিয়েছে। মায়াবতীর কথায়, ‘পরিকল্পনা করেই মমতাকে নিশানা করেছেন মোদী-শাহ জুটি’।
কমিশনের সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে মায়াবতীর প্রশ্ন, ‘কেন বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা অবধি প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিল কমিশন? কেন আজ সকাল থেকে এই নিয়ম লাগু হল না?’ জবাবটা নিজেই দিয়ে দেন মায়াবতী৷ বলেন, ‘আসলে আজ বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর দুটো সভা আছে৷ বসপা সুপ্রিমোর অভিযোগ, বিজেপিকে প্রচারের সুযোগ করে দিতে কমিশনের এই পক্ষপাতিত্ব৷ এটা সঠিক নয়৷ নির্বাচন কমিশন চাপের মুখে কাজ করছে’৷ এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে মায়াবতী বলেন, ‘এটা পরিস্কার মোদী, অমিত শাহ ও বিজেপির অন্যান্য নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করেছে৷ এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে৷ এক ভয়ঙ্কর ও অনুচিত ধারা তৈরি হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়৷’
প্রসঙ্গত, অমিত শাহের রোড শো থেকে রাজনৈতির হিংসার ‘বলি’ হন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর৷ বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে তাঁর মূর্তি ভাঙা পড়ে৷ তারপর থেকে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি৷ সেই আঁচ গিয়ে পড়ে জাতীয় রাজনীতিতে৷ তারপরই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন৷ সংবিধানের ৩২৪ ধারা বলে বাংলার নির্বাচনের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়৷ বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা অবধি সব রাজনৈতিক দলকে প্রচার শেষ করে নেওয়ার নির্দেশ জারি করে কমিশন৷
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে৷ এই ইস্যুতে আরও একবার মমতার নেতৃত্বে বিরোধী ঐক্য ফুটে ওঠে৷ বিরোধী নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দেন। কংগ্রেসও এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে৷ জানায়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের লজ্জাজনক আত্মসমর্পন৷