আজ কবি সুকান্তের মৃত্যুদিন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লেখেন, “বন্ধু, তোমার ছাড়ো উদ্বেগ, সুতীক্ষ্ণ করো চিত্ত, বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত”। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যুদিবসে প্রণাম।
সুকান্ত ভট্টাচার্য একজন বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের পাশাপাশি তিনি আধুনিক বাঙালি কবিতার মূল চরিত্রগুলির মধ্যে একজন ছিলেন, যদিও তাঁর বেশিরভাগ রচনা মরণোত্তরভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
মাত্র একুশ বছর বয়েসে সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়। তাঁর জীবনের সময়কালে তাঁর কবিতাগুলি তেমন ভাবে প্রচারিত হয় নি, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর খ্যাতি বেড়ে যায়। এবং তিনি হয়ে ওঠেন বিংশ শতকের জনপ্রিয় বাঙালি কবি। তারুণ্যের ছটা ও কলমের জোরে সাহিত্য জগতকে আলোকিত করবার জন্য বাংলা তথা বিশ্ব তাঁকে মনে রাখবেন। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং সুরকার সালিল চৌধুরীর উপর তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে, যিনি তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলি সঙ্গীততে স্থাপন করেছেন।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা, দেশপ্রেম ও মানবতাবাদের সাথে বিদ্রোহী প্রকৃতির, এবং একই সাথে, রোমান্টিকতা স্পর্শ করে। পরাধীন ভারতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লিখেছেন বহু কবিতা। সুকান্তের বিখ্যাত দুটি লাইন যা আপামর বাঙালি আজীবন মনে রাখবে তা হল, ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি হল, প্রিয়তমাসু, আঠেরো বছর বয়স, দুর্মর, পুরোনো ধাঁধাঁ ইত্যাদি। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য আজীবন মানুষের মনে থেকে যাবেন তাঁর আসাধারণ সৃষ্টির জন্য। বাংলা সাহিত্য জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করবে তরুণ কবি সুকান্তের নাম।