রবিবার ষষ্ঠ দফার পর কমিশন জানিয়ে দিল বাংলায় মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে লোকসভা ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণও। গতকাল বড় কোনও ঘটনা না ঘটলেও সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর আসতে থাকে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর ওঠে বিজেপির দিকেই। তবে ভোট মিটলেও সন্ত্রাস অব্যাহত বিরোধীদের।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, গতকাল শালবনি ব্লকের মুসিনা গ্রামের ২৯০ নম্বর বুথে ভোটদান শেষ হওয়ার পর যখন তাঁদের কর্মী, সমর্থকরা বিশ্রাম করছিলেন তখন কমপক্ষে ৪০ জন সশস্ত্র বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা সেখানে হাজির হয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে কোপাতে থাকে। অতর্কিত হামলায় জখম হয়েছেন পাঁচজন তৃণমূলকর্মী। তাঁদের প্রথমে শালবনি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। জখমদের মধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
বাঁকুড়ার বড়জোড়ার রাজপ্রসাদপুরেও তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিএম–এর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার সিপিএম–এর কর্মী, সমর্থকরা প্রথমে কার্যালয়ে ঢুকে গোলপাল পাকাচ্ছিল। গোলপাল থামাতে গিয়ে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে লাঠিচার্জ করে আসবাব এবং জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রকোণা রোডের ভুশিন্ডা গ্রামেও বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রবিবার সকালে ভোটের সময় দুপক্ষের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে কিছু বাকবিতন্ডা হলেও তখনকার মতো সমস্যা মিটে যায়। ফের রাত ১০টা নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা বিজেপির কাছে যায় তাদের বুঝিয়ে সমস্যা সমাধানের আশায়। আরও অভিযোগ, তাঁদের কথা না শুনেই বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা তৃণমূল নেতাদের ঘিরে ধরে এলোপাথাড়িভাবে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। কমপক্ষে পাঁচজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি এলাকা থমথমে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।