ভোট পর্বের শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন ভারতী। সোনা প্রতারণা-সহ বিভিন্ন মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। সোনা মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। দিন কয়েক আগেও কেশপুরে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলে এনে তৃণমূলকর্মীদের কুকুরের মতো মারার হুমকি দিয়েছেন ভারতী। এবার চারটি গাড়িতে দু’কোটি টাকা পাচারে নাম জড়িয়েছে এই বিজেপি প্রার্থীর। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। আর এবার ওই ঘটনার জেরে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, হুমকি-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে বেশকিছু জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে পিংলায় নাকা চেকিং-এর সময় বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের মোট চারটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু’কোটি টাকা।। পুলিস সূত্রে খবর, তল্লাশি চালাতে না দিয়ে প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। পরে তাঁকে ধরে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। রাত ২টো নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় ঘাটালের পদ্মপ্রার্থীকে। অভিযোগ, বারবার সিজার লিস্টে সই করতে বলা হলেও, সই না করেই চলে যান ভারতী ঘোষ। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, কোনও প্রার্থী ৫০ হাজারের বেশি টাকা সঙ্গে রাখতে পারে না। বিপুল পরিমাণ টাকার উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ভারতী। পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন তিনি। পাশাপাশি, সিজার লিস্টে স্বাক্ষর করেননি ভারতী। বারবার সিজার লিস্টে সই করতে বলা হলেও সই না করেই চলে যান তিনি।
উল্লেখ্য, একজন প্রার্থীর কাছে ৫০ হাজার পর্যন্ত নগদ সঙ্গে থাকা অনুমোদিত। আর তারকা প্রার্থী হলে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা সঙ্গে রাখতে পারেন তিনি। সেখানে ভারতী ঘোষের কাছে ২ কোটি টাকা ছিল। ফলে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিলির জন্যই এই বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর কাছে ছিল। শুধু তাই নয়, ভারতী ঘোষের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিও তুলেছে শাসকদল। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের কাছে যে রিপোর্ট তলব করেছিল কমিশন, ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে কমিশনে। আগামী ১২ মে, রবিবার ঘাটালে ভোট। তার ঠিক দু’দিন আগেই সেখানকার দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে বিপাকে গেরুয়া শিবির।