বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ সত্য প্রমানিত হল। যতই বিজেপি বা সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা গলা চড়িয়ে বলুক তাঁদের মধ্যে কোনো যোগ নেই কিন্তু গোপনে গোপনে রাম-বাম আঁতাত যে করছে তা বোঝা গেল সম্প্রতি সিপিএম সূত্রের খবর থেকে। রাম-বাম দুদলই বুঝে গেছে উত্তর কলকাতার মতো শক্ত ঘাঁটিতে দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ হবে। তাই নিচুতলায় জোট করে উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধাক্কা দিতে চাইছে রাম-বাম। কিন্তু তাতেও যে কতটা সাফল্য পাবে সে নিয়েও সংশয় আছে নিজেদের মধ্যেই।
সিপিএম সূত্রের খবরই হল, অন্যান্য কেন্দ্রে যাই হোক, কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে আঁটঘাঁট করে নিয়েছেন সিপিএমের নিচু তলার কর্মীরা। এমনকী বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বিজেপি জেতানোর আহ্বানও করছেন তাঁরা। তবে তা খুব নিঃশব্দে। সিপিএমের ওপর তলার নেতারা বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও বিজেপি নেতারা বিষয়টি ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়ে দিয়েছেন। কলকাতা উত্তরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী ৫০০ জন মতো। সেই সংখ্যাটাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় থেকে দুহাজার। আর এই অতিরিক্ত সংখ্যাটাই সিপিএম কর্মীরা।
মানিক সরকারের মতো সিপিএম এর উঁচু তলার নেতারা যতই গলা ফাটিয়ে বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিক, তা কোনও ভাবেই যে তাঁর দলের নিচু তলায় পৌঁছচ্ছে না, তা উত্তর কলকাতা দিয়েই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হাতে হাত মিলিয়েছে সিপিএম-বিজেপি কর্মীরা। যদিও এই আশঙ্কা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আন্দাজ করেছিলেন, সেই মতো তিনি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়ে দিয়েছেন। তাই বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহাকে হারাতে কোনও বেগ পেতে হবে না বলেই জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ জানে এই ষড়যন্ত্রের কথা, তার জবাবও সিপিএম-বিজেপি পাবে বলেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।