খারাপ সময় চলছিলই। কিন্তু ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ভারতী ঘোষের। এর আগে তাঁর দাসপুরের বাড়িতে চলছে সিআইডি তল্লাশি৷ বিতর্কিত মন্তব্য করে বিধিভঙ্গ করায় কমিশনের তরফে রিপোর্ট তলবও করা হয়েছিল। আর এবার আরও বেকায়দায় পড়লেন ভারতী। আগামী ১২ মে দুই মেদিনীপুর-সহ মোট আট কেন্দ্র ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ। আর ঠিক তার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মন্ডলবাড় এলাকায় লক্ষাধিক টাকা-সহ আটক করা হয় বিজেপি প্রার্থীকে।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী আচরণ মেনেই রাস্তায় গাড়ি তল্লাশিতে মোতায়েন ছিল পুলিশকর্মীরা। সেই সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ নিজের গাড়ি করে ফির ছিলেন। গাড়িতে ছিলেন আরও তিন জন। ছিলেন তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট অয়ন দন্ডপাটও। খবর, ভারতীর গাড়িতেও তল্লাশি করা হলে পুলিশ সেখান থেকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৯৫ টাকা উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী আচরই বিধি অনুসারে প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ নিজের সঙ্গে রাখতে পারেন। সেই নিয়ম অনুসারেই পুলিশ উদ্ধার নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে।
শুধু তাই নয়, এরপরই পুলিশ ভারতী ঘোষকে সিজার লিস্টে স্বাক্ষর করতে বলায় তিনি তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের স্বাক্ষর করার দাবি করেন। পুলিশ তা না মানায়, ভারতী সিজার লিস্টে স্বাক্ষর না করেই গাড়ি নিয়ে ওই স্থান থেকে চলে যান। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। প্রশ্ন উঠছে, রাতের অন্ধকারে গাড়িভর্তি টাকা নিয়ে কী করছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। পুলিশের অনুমান, এলাকায় টাকা বিলানোর উদ্দেশ্য নিয়েই ভারতী ঘোষ পিংলায় এসেছিলেন। এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও রাজ্য নেতাই এ নিয়ে মুখ খোলেননি। যা থেকে স্পষ্ট, এই ঘটনায় যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।