‘তৃণমূল প্রার্থীরা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করতে না পারলে, কান ধরে ওঠবোস করতে হবে মোদীকে’৷ বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার তামলির মাঠের সভা থেকে এভাবেই চাঁচাছোলা ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় সভা করে তৃণমূলের প্রার্থীদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁকুড়ার তামলির বাঁধ এলাকার প্রচার সভা থেকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল প্রার্থীদের কয়লা মাফিয়া বলছেন৷ প্রমাণ দিন প্রার্থীরা কয়লা মাফিয়া৷ প্রমাণ করতে পারলে লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি প্রার্থী তুলে নেব৷ মিথ্যে প্রমাণ হলে ১০০ বার ওঠবোস করতে হবে৷ বাংলায় এসে মিথ্যা কথা বলার আগে দশবার ভাববেন৷ একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে মিথ্যে কথা মানায় না’৷
মোদী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে সকলকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার সেই আক্রমণের ঝাঁজ আরও তীব্র করে মমতা বলেন, ‘আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি মাথানত করার মানুষ নই। কষ্ট করে দল গড়ে তুলেছি। ইডি-সিবিআইকে দিয়ে আমাকে রোখা যাবে না’।
বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপির কুকীর্তির প্রমাণ পেনড্রাইভে আছে৷ তাতে গরু পাচারের প্রমাণ রয়েছে৷ ৪-৫ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মোদীর কুকীর্তি ফাইলবন্দী৷ আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই৷’ বিজেপি নিজের সুবিধার কথা ভেবে সাত দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা৷ তাঁর কথায়, ‘বাংলার মানুষকে অসুবিধায় ফেলতেই এই গরমে এত দফার ভোট করাচ্ছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, সব রাজ্য ঘুরে এখন বাংলায় এসে ঘাঁটি গেড়েছে দুর্যোধন আর দুঃশাসন’। বাংলায় নির্বাচনের দিনগুলিতে বুথে বুথে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের সময় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও চান তিনি৷