হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন। তাই অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থী। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর আইনজীবীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করার নির্দেশেও দিয়েছেন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ঠিক করেছি, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করব। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছে আমার আইনজীবী। শিগগিরই আমি এই মানহানির মামলা দায়ের করব”।
সোমবার কীরকম ভোট হচ্ছে তা দেখতে দাশনগরের বালিটিকুরির মুক্তরাম দে হাইস্কুলের বুথে ঢুকতে গেলে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা প্রসূনবাবুকে বাধা দেয়। তিনি তাঁর নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখালে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেটা টেনে ছিঁড়ে দিয়ে তাঁকে ও তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ইন্দ্রনীল বসুকে বেদম লাঠিপেটা করে। দুজনেই মারাত্মক জখম হন। তিনি বললেন, “যেভাবে আমাকে মারা হয়েছে, তাতে আমি মরেও যেতে পারতাম। এখন গায়ে হাত পায়ে প্রব ব্যথা। নেহাত ফুটবল খেলতাম বলে প্রাণে বেঁচে গেছি। তবে এত মার খেয়েও আমি মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। ওদের ফাঁদে পা দিয়ে কোনও গোলমালে জড়াইনি”।
মঙ্গলবার প্রসূনবাবু বলছিলেন, ‘আমি ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলাম। অর্জুন পুরস্কার পেয়েছি। জাতীয় সম্মানে ভূষিত হয়েছি। ফুটবলার হিসেবে বহু বছর সম্মানের সঙ্গে ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছি। এশিয়াডে ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য ছিলাম। মাঠে কোনওদিন হলুদ কার্ড পর্যন্ত দেখিনি। আমি দু’বারের সাংসদ। তা সত্ত্বেও বিনা প্ররোচনায় যেভাবে আমাকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠিপেটা করল, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই সঙ্গে আমাকে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ওরা যে রকম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, তা কিছুতেই মানতে পারছি না। আমি এর তীব্র নিন্দা করি”।