প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমের প্রতি নিজের ভালবাসার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মাঠে মাঠে ঘুরে গাছের নীচ থেকে আম কুড়িয়ে খাওয়ার গল্পও। কিন্তু দেশের ‘আম’ জনতার কথা তার মাথায় আসেনা। তাঁদের অবস্থা যে দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই মোদীর। তিনি এই ভোট মরশুমে ব্যস্ত আত্মপ্রচারেই। আর তাই আজ দিল্লীর প্রেস ক্লাবে নারী আন্দোলনের নেত্রী শবনম হাসমি, অঞ্জলি ভরদ্বাজ, পূর্ণিমা গুপ্তদের একটি অরাজনৈতিক মঞ্চের সাংবাদিক সম্মেলন হল এই ‘আম ও আঁটি’ নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, ‘নরেন্দ্র মোদী আম ভালবাসেন, কিন্তু ‘আম’জনতা গত পাঁচ বছরে শুকিয়ে আঁটি হয়ে গিয়েছে, সে খেয়াল নেই’।
আজ ‘ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির’ কাছে রাখা ছাপান্নটি প্রশ্ন টাঙিয়ে, তার সঙ্গে আমের আঁটি বেঁধে তৈরি করা হয়েছিল সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চ! টেবিলেও আমের ছড়াছড়ি! সেখানে শবনম বলেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি এড়িয়ে নিজের গরিমা প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথা বলেছেন। কী ভাবে তিনি আম খেতে ভালবাসেন, তা-ও জানিয়েছেন বলিউডের তারকাকে। কিন্তু ঘটনা হল, ২০১৪ সাল থেকে আমজনতাকে চুষে চুষে আঁটির হাল করা হয়েছে ২০১৯-এ এসে!”
মহিলা মঞ্চের বক্তব্য, আমের কথা বলে আসলে আমজনতার কথা ভুলিয়ে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। যে প্রশ্নগুলি মোদী সরকারকে করা, হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—২০১৫ থেকে কৃষক আত্মহত্যার নথি প্রকাশ কেন বন্ধ করে দেওয়া হল? গত পাঁচ বছরে কত কর্মসংস্থান হয়েছে সেই তথ্য কেন চেপে যাওয়া হচ্ছে? কৃষকের আয় কত শতাংশ বেড়েছে? গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করলেন না কেন? ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? গত পাঁচ বছরে প্রচারের জন্য মোদী সরকার মোট কত খরচ করেছে? গত মাসে এই মহিলা মঞ্চের উদ্যোগে গ্রাম ও শহরের প্রমীলা বাহিনী একটি বিরাট পদযাত্রা করেছিল দিল্লীতে। তারপরই মোদীর আম-প্রেম, আত্মপ্রচার নিয়ে সরব তাঁরা।