আজ ভোরে প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দী। ভারতীয় সময় চারটের সময় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদক প্রাপ্ত জনপ্রিয় এই শিল্পী। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় শিল্পীর একবার হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিৎসা চলাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলার মধ্যেই তাঁর আরও তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয়। অবশেষ মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫।
সুবীর নন্দীর প্রয়াণে বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, “জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ জনপ্রিয় শিল্পী তার কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন”। তিনি শিল্পীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সঙ্গীতে অবদানের জন্য চলতি বছরে তিনি পেয়েছেন একুশে পদক যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জে সুবীর নন্দীর জন্ম। গানের হাতেখড়ি মায়ের কাছে হলেও পুরোদস্তুর শিক্ষা ওস্তাদ বাবর আলী খানের অধীনে। পরবর্তীকালে লোকগানের তালিম নিয়েছেন বিদিত লাল দাসের কাছে। ১৯৬৭ সালে সিলেট বেতারে প্রথম আত্মপ্রকাশ। চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠ শিল্পী হিসেবেই সুবীর নন্দী খ্যাতির আলোকবৃত্তে আসেন। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে তাঁর প্রথম প্লে ব্যাক। সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন আবদুস সামাদ। প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ১৯৮১ সালে। ৪০ বছরের কেরিয়ারে তিনি বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও বেসিক অ্যালবাম মিলিয়ে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান যার মধ্যে অসংখ্য গান লাভ করেছে তুমুল জনপ্রিয়তা। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। সিনেমার প্লে ব্যাক করেই তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।