তিনি রাজা, তাতে কি? সকলের সামনেই প্রকাশ্যে হাত ধরলেন নিজের দেহরক্ষীর! আগে তিনবার বিয়ে করেছেন, কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। বয়স পেরিয়েছেন ৬৬, তাতে কি? প্রেম বয়স মানেনা। মানে না জাত-পাত। মনের বাঁধনে বাধ সাধেনি কিছুই। দেহরক্ষীকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। গোপনে প্রেমালাপ চলেছিল বহু দিন ধরেই। শেষে ধূমধাম করে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালংকর্ণ। কনের নাম সুথিডা ওরফে ‘কুইন’ সুথিডা।
সুথিডার সঙ্গে তাঁর আলাপ ২০১৪ সালে। তিন নম্বর স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে বাজিরালংকর্ণ মানসিক অবস্থা তখন টালমাটাল। সুথিডা তখন থাই এয়ারওয়েজের বিমানকর্মী। তাঁকে নিজের দেহরক্ষীর ডেপুটি কম্যান্ডার হিসেবে নিয়োগ করেন বাজিরালংকর্ণ। শোনা গেছে, ২০১৬ সালে রয়্যাল থাই সেনার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুথিডাকে। তার পরের বছরই রাজার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর ডেপুটি কম্যান্ডারের দায়িত্ব পান সুথিডা। প্রেম তখন অনেকটাই ঘণীভূত। কানাঘুষো চলছে থাইল্যান্ডের রাজার সঙ্গে তাঁর দেহরক্ষীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তবে সরাসরি ঘোষণা করেননি কেউই। রাজার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, রাজ্যাভিষেকের আগেই চমকটা দিতে চেয়েছিলেন রাজা রামা এক্স। এর আগেও তিন বার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। রয়েছে সাত সন্তান।
২০১৬ সালে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান বাজিরালংকর্ণের বাবা ভূমিবল অতুল্যতেজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরে, ১৯৪৬ সালের ৯ জুন রাজা হয়েছিলেন তিনি। নানা গোষ্ঠী সংঘর্ষে দীর্ণ থাইল্যান্ডকে একক রাষ্ট্র হিসেবে তিনিই গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে সেই হাল ধরেন বাজিরালংকর্ণ। বাবা ভূমিবলের মৃত্যুর পর যুবরাজ হিসেবেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বাজিরালংকর্ণ। দিন কয়েক আগেই তাঁকে রাজা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামিকাল, শুক্রবার জাঁকজমকে তাঁর রাজ্যাভিষেক হওয়ার কথা। তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাজ পরিবার। এর মাঝেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বাজিরালংকর্ণ। সরকারি ভাবে রাজার মুকুট মাথায় ওঠার আগেই প্রেমকে পরিণতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।