আগামীকাল উড়িষ্যা উপকূলে প্রবল বেগে আছড়ে পড়বে সামুদ্রিক ঝড় ‘ফণী’৷ আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, আজ রাতেই উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ধ্বংসাত্বক ঝড়। আর ঝড় শুরু হলে সবথেকে বেশি বিপাকে পড়বেন জগন্নাথধামে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা৷ তাই ফণী আসার আগেই বাঙালি পর্যটকদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে তোড়জোর শুরু করেছে রেল৷ এদিন দুপুরে বিশেষ ট্রেনে চেপে পুরী থেকে হাওড়ার শালিমারে ফিরে আসছেন বাঙালি পর্যটকরা৷
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস শুক্রবার দুপুরে ঘন্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার থেকে ২০৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলে প্রভাব পড়বে বলে জানা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড এবং নৌজাহাজ এবং হেলিকপ্টার সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর্মি এবং বায়ুসেনাও প্রস্তুত। পাশাপাশি, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ৪১টিম প্রস্তুত। ইতিমধ্যে উড়িষ্যা আটলক্ষ বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুরী ছাড়ার কথা জানানো হয়েছে। পুরী প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে শুক্র ও শনিবার। অতি প্রয়োজন ছাড়া তাই ওই দুদিন সৈকত শহরে সবধরণের যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হবে। আর এরপরই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর পূর্ব উপকূলীয় রেল দফতর জানিয়ে দিল আগামী ২ মে থেকে ৮১ টি ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে।
গতকালই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর পূর্ব উপকূলীয় রেল জানিয়ে দেয় ২ মে থেকে ৮১ টি ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। দেশের পূর্বপ্রান্তের উপকূল এলাকায় জারি করা হয়েছে গভীর সতর্কতা। ঘন্টায় ২০৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে ফণী। এর জেরে পর্যটকদের পুরীতে থাকতে নিষেধ করছে স্থানীয় প্রশাসন। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরী স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেন ছাড়া হবে৷ সেটি খড়গপুর হয়ে ঢুকবে শালিমার৷ যাত্রাপথে ট্রেনটি খুরদা রোড, ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, কেন্দুঝর, ভদ্রক, বালেশ্বরে থামবে৷ সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি ভুবনেশ্বরে বেলা দেড়টায় ঢোকার কথা৷