মোঘল আমল থেকেই ভারতে তাঁতবস্ত্রের রমরমা। সুতো দিয়ে মাকুর উপর নির্ভর করে হাতে বোনা শাড়িই মূলত তাঁতের শাড়ি নামে পরিচিত। একসময় ব্রিটিশদের চাপে ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় তাঁতশিল্প। বাংলা ভাগের পর হুগলি, বাঁকুড়া, নদিয়ার শান্তিপুর, ফু লিয়া, বর্ধমানের ধাত্রীগ্রামকে কেন্দ্র করে বাংলার তাঁতশিল্প যেন নতুন জীবন ফিরে পায় আটপৌরে বাঙালির ঘরে জায়গা করে নেয় ধনেখালি, শান্তিপুরী, ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই তাঁত শিল্পীদের প্রতিভা গুণে তৈরি হচ্ছে রেশমের শিল্ক শাড়ি। হুগলী লোকসভা কেন্দ্রে ধনেখালি বিধানসভায় তৃণমূলের প্রচারের প্রধান ইস্যু এই তাঁতশিল্পই।
ধনেখালির তাঁতের চাহিদা আজও বর্তমান। মমতা তাঁতশিল্পীদের পেনশন ৭৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করেছেন যা প্রচারে এক বিরাট হাতিয়ার হয়ে উঠছে তৃণমূলের কাছে। এছাড়াও মমতার উদ্যোগে দেওয়া হয়েছ তাঁতিদের তাঁতসামগ্রী, তাঁতঘর ইত্যাদি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মমতা তাঁত শিল্পীদের সমস্যা কমিয়ে এনেছেন যেভাবে তাকেই প্রচারে তুলে ধরছেন দলের কর্মীরা।
মমতার উদ্যোগে যেভাবে এই এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে তাতশিল্পীরা যেভাবে উপকৃত হয়েছেন তার জেরেই মানুষ ভোট দেবেন এমনটাই জানিয়েছেন ধনেখালির তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। মানুষ যেভাবে মমতার উন্নয়ন পেয়েছেন তাঁরা আপ্লুত এর প্রতিদান যে ভোট বাক্সে দেবেন তা জানাচ্ছেন তাঁরা নিজেই। ফলে ধনেখালিতে ঘাসফুল ফোটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।