‘শীঘ্রই আসছি, ইনশাল্লাহ’ দিন কয়েক আগে বাংলায় হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করেছিল আইএস। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সতর্কতা জারি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে৷ কিন্তু নিরাপত্তার সেই বজ্রআঁটুনিকে গুড়িয়ে ফেলে সোমবার রাতে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় হামলা চালাল জঙ্গী সংগঠন আইএস৷ এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন পুলিশ অফিসার৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জামাত-উল-মুজাহিদিনের (জেএমবি) সঙ্গে আইএসের যোগ রয়েছে। জেএমবির সাহায্যেই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের দলে সদস্য নিয়োগ করছে আইএস। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ৷ ধৃত আরিফুল ২০১৮-র বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত। এভাবেই চোরাগোপ্তা এ রাজ্যেও সংগঠন বৃদ্ধি করতে চাইছে জেএমবি৷
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বঙ্গবন্ধু শপিং কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের একটি কিয়স্ককে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে জঙ্গিরা৷ দু’মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনায় আহত হন, ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, মহম্মদ লিটন এবং কমিউনিটি পুলিশ মহম্মদ আশিক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজারবাগ হাসপাতালে৷ পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের৷ ঢাকা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলি নোমান জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ ও সিআইডি। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করায় আরও চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের৷
আইএসের গতিবিধি বিশ্লেষক রিটা কাটজ মঙ্গলবার টু্ইটারে আইএসের দাবি সম্বলিত একটি স্ক্রিনশট দেন। আরবি ভাষায় যাতে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকার গুলিস্তানে মুরতাদ বাহিনীর ওপর এ হামলা চালানো হয়। রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বোমা হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন’।