বুধবার দুপুরে রঘুনাথপুরের রায়বাঁধ, গুনিয়াড়া থেকে রোড শো করেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার আগে শহিদবেদীতে মালা দেন। বিকেলে নিতুড়িয়ার সালতোড় অঞ্চলে পারবেলিয়া বাজার, হাটতলা, নিউকলোনি, হিজুলি অঞ্চলে রোড শো করেন তিনি। করজোড়ে মানুষকে নতুন সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।
সুব্রতর রোড শোয়ে নিতুড়িয়ার ব্লক সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব, জেলা পরিষদের সদস্য সরিতা তুরী, সঞ্জয় যাদব, সুমিতসাগর প্রসাদ যাদব–সহ হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী–সমর্থক, সাধারণ মানুষ পা মেলান। রোড শোয়ের দুই প্রান্তে মানুষ হাত নেড়ে সুব্রতকে অভিবাদন জানান। নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির–সহ সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বড় ব্যবধানে জয়ী হওয়াটা এক প্রকার নিশ্চিত। প্রতিটি সভা ও মিছিল রোড শোতে যেভাবে মানুষের সাড়া পাচ্ছি তাতে জয়ের ব্যবধান কত হবে তা আর বলে বোঝাতে হবে না।
বাম আমলের শিক্ষা ও শিক্ষার পরিকাঠামোর বিষয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বাম আমলে প্রতিটি শিক্ষাক্ষেত্র রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। তৃণমূল আমলে শিক্ষকরা তাঁদের যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরাও নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এদিনের সভায় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় ও জেলা শিক্ষা সেলের কার্যকারী সভাপতি প্রকাশ সিং দে-ও উপস্থিত ছিলেন।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা এদিন গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েতে চুটিয়ে প্রচার সারেন। সকালে তিনি গঙ্গাজলঘাটিতে পদযাত্রা করেন। পরে পিড়রাবনি, জামবেদিয়া, শালবেদিয়া সহ কয়েকটি জায়গায় সভা করেন। প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী।
অরূপবাবু বলেন, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আমি জঙ্গলমহলের দায়িত্বে ছিলাম। দু’দিন আগে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিষ্ণুপুর লোকসভার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমাকে এবং জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন। দলনেত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিষ্ণুপুর শহরের তিনটি ওয়ার্ডে সভা করি। এদিন গঙ্গাজলঘাটিতে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার করা হয়েছে। ভোটের আগে দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে সবরকম প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
পুঞ্চায় আয়োজিত মৃগাঙ্কর কর্মীসভায় বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে শতাধিক পরিবার তৃণমূলে যোগ দেয়। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন সাংসদ শান্তনু সেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু–সহ তৃণমূলের জেলা নেতারা।