রূপা চৌধুরি। ওলা বাইকে শহরের প্রথম মহিলা চালক। মেয়ে হয়েও সমস্ত রকম ভয় বিপদ তুচ্ছ করেই তিনি এ পেশায় এসেছেন। তাই রাত ১০টা পেরিয়ে গেলেও নিরাপত্তা নিয়ে তিনি ভয় পান না। কারণ মেয়েরা সব পারে। সন্তোষপুরে মা-বাবা-দিদির সঙ্গেই থাকতেন রূপা। দিদি আর মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়ে। ফলে সেই বাড়ি তখন বেচে দেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই কঠিন অসুখে ভুগে মা আর দিদি দুজনেই মারা যান।
এরপরই বাবাকে নিয়ে বাঘাযতীনের কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নেন তিনি। তখন অবশ্য একটি অফিসে কাজ করতেন। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে চাকরি ছাড়তে হয়। এরপরই তিনি যোগ দেন সুইগিতে। সুইগিতেও রূপাই প্রথম মহিলা যিনি ডেলিভারি গার্ল হিসেবে যোগ দেন। সাদর আমন্ত্রণে সুইগি দরজা খুলে দেয় তাঁর জন্য। বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে। তাঁকে দেখেই আরও অনেক মেয়েই সম্মানজনক কাজের শর্তে বেঁচে থাকতে যোগ দেন সুইগিতে।
রূপার শ্বশুরবাড়ি বারাসতে। যদিও বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর। ফলে সেখানেই বাবা-ঠাকুমার সঙ্গে থাকতে বাধ্য ছেলে সায়ন্তন। মা লুকিয়ে ফোন করলে কথা বলে। মাঝে মাঝে ছেলের পছন্দের চকোলেট নিয়ে স্কুটি করে পৌঁছে যান ছেলের কাছে। পাড়ার মোড়েই কথা হয় ছেলের সঙ্গে। রূপা জানান, ছেলের জন্যই তাঁর এই সংগ্রাম।