প্রথম থেকেই ইভিএম নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার দেশ জুড়ে তৃতীয় দফা ভোটের দিন ফের দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভোটযন্ত্রে গন্ডগোল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি ভোটযন্ত্রে আপনা থেকেই বিজেপির হয়ে ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেরল, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও গোয়া থেকে ভোটযন্ত্রে গন্ডগোলের খবর এসেছে। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে একটি বুথে কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেন, তাঁরা কংগ্রেসের হাত চিহ্নে বোতাম টিপেছিলেন, কিন্তু বিজেপির পদ্ম চিহ্নে ভোট পড়েছে। ওই অভিযোগ নিয়ে বুথের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা যায়। কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক এই নিয়ে অভিযোগও করেছেন। কোভালামের বিধায়ক এম ভিনসেন্ট বলেন, আমরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছি। জেলাশাসক ওই ইভিএম পরীক্ষা করে দেখছেন।
ইভিএমে গোলযোগের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ওয়ানাড় কেন্দ্রেও। সেখানে প্রার্থীদের দাবি, একটি বুথে পুনরায় ভোট করাতে হবে। কারণ মঙ্গলবারের ভোটে ইভিএম ঠিকমতো কাজ করেনি।
ভেল্লাপাল্লি চিফ ইলেকশন এজেন্টকে চিঠি দিয়ে বলেন, আরাপ্পাত্তায় সিএমএস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভোটযন্ত্র কাজ করছিল না। কোনও বোতামে দু’বার চাপ দেওয়ার পরেও কোথাও ভোট পড়েনি। দক্ষিণ গোয়ায় কুনকোলিমে একটি ভোটযন্ত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, বিজেপির পক্ষে আপনা থেকে ভোট পড়ছে। সেই ভোটযন্ত্র বদলে অন্য ইভিএম আনা হয়।
দক্ষিণ গোয়া লোকসভা কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির প্রার্থী এলভিস গোমস অভিযোগ করেন, ইভিএম নিয়ে পরীক্ষার সময় প্রত্যেক ভোটারের হয়ে ন’টি ভোট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোট পড়েছে ১৭টি। কংগ্রেসের হয়ে পড়েছে ন’টি, আপের পক্ষে আটটি এবং নির্দল প্রার্থীর হয়ে মাত্র একটি।
জেলাশাসক কে বাসুকি বলেন, অভিযোগ ওঠার পরে ওই ভোটযন্ত্র বদলে দেওয়া হয়েছে। ভিভিপ্যাট স্লিপগুলিও গুনে দেখা হচ্ছে। মুখ্য নির্বাচনী অফিসার টিকারাম মিনা বলেন, সোমবার রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। কয়েকটি ইভিএম জলীয় বাষ্প শুষে নিয়েছে। তাতেই যন্ত্র খারাপ হয়ে যায়।