তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের পথঘাট। গ্রামের মধ্যেই অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামের বাড়ির পাশ ঘেঁষে তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তা। কিছু দূর অন্তর অন্তর গভীর নলকূপ। কংক্রিটের ঢালাই পথ। খুঁটির গায়ে কিংবা খড়ের চালের ওপরই বিশেষ কায়দায় বসেছে ডিস অ্যন্টেনা। সুন্দরবনের কাছে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ, কালিতলা, হেমনগর, সামশের নগরের মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর। এই যোগেশগঞ্জে পথের পাশে মাটির বাড়ির কাঁচা দেওয়াল রঙিন করেছে তৃণমূলের প্রার্থী ও প্রতীক। প্রার্থী নুসরত জাহান ঘুরে গেছেন এর মধ্যে ২ বার।
হিঙ্গলগঞ্জে উন্নয়ন, বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকেই ইস্যু করে মানুষের দরজায় যাচ্ছে তৃণমূল। গ্রামের বাড়িগুলো এখনো কাঁচা। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি এখানে এখনো পৌঁছয়নি এই প্রশ্নে তৃণমূলের সহসভাপতি জানালেন, “আইলার পর তো সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষত এখনও নির্মূল হয়নি। বহু বাড়ি হয়েছে। সামনের কয়েক বছর পর দেখবেন কাঁচা বাড়ি আর থাকবে না। তখন পাকা বাড়ি, পাকা রাস্তা”। সুদীপ মণ্ডল হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। পদটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় অর্চনা মৃধা সভাপতি হয়েছেন। সুদীপ মণ্ডল এখন হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। তিনি জানান, “গোটা ব্লকের উন্নয়নে আমাদের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল নজর রাখেন। আগে তো মহকুমা সদরে যাওয়ার নামে আমাদের কান্না পেত। এখন দুলদুলিতে জেটি করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি, বাইক পণ্যবাহী গাড়ি অনায়াসে ঝুঁকিহীন ভাবে পার হয়ে যাচ্ছে। ক’দিন আগে যে হাসনাবাদে বনবিবি সেতুর উদ্বোধন হয়ে গেল, তাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল বদলে গেছে”।