দিন কয়েক আগেই নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই আর বাজানো যাবে না বাবুল সুপ্রিয়র তৈরি বিজেপির থিম সং। কিন্তু তারপরেও কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র বাড়ির সামনেই বাজানো হয়েছে তাঁর তৈরি থিম সং৷ এমনকী আসানসোলে মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় মিছিল ও সমাবেশে বহাল তবিয়তে বেজেছে বাবুলের বিতর্কিত গান। আর এবার মনোনয়নের মিছিলে বাবুল সুপ্রিয়র বিতর্কিত থিম সং বাজিয়ে তমলুকে বিতর্কে জড়াল বিজেপি।
নিবার্চন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষিদ্ধ থিম সং বাজিয়ে শনিবার তমলুকে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিজেপি চরম বিশৃঙ্খল দল। কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যান হওয়া গান প্রচারে ব্যবহার করছে। আমরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’
ও’দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতাল মোড় থেকে বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার মিছিলে সাউন্ড বক্সে বাজছিল থিম সং। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদীপ দাসের সাফাই, গানটি নিষিদ্ধ বলে নাকি জানাই ছিল না তাঁদের! তাঁর কথায়, ‘গানটি নিষিদ্ধ বলে আমাদের জানা ছিল না। তাই আমরা প্রকাশ্যেই বাজিয়েছি গানটি। আপত্তির কিছু থাকলে কমিশন ব্যবস্থা নিক।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে বারবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে বিজেপির নামে। তবে তাতে শুধরে নেওয়া তো দূর, কমিশনকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে সেই কাজই করে যাচ্ছে মোদী শিবির। ভোট শুরু হয়ে গেলেও বহাল রয়েছে সেই ধারা। এর আগে অমিত শাহের সভাতেও বাজান হয়েছিল বাবুলের বিতর্কিত গান। উল্লেখ্য, শাসক দল অভিযোগ তোলার পরই বিজেপির ওই থিম সংয়ের প্রায় ২৬টি শব্দ পালটে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। কিন্তু সে কথাটুকুরও মান রাখেনি বিজেপি। কানেই তোলেনি কমিশনের কথা। আর তার পরই বাবুলের সেই গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কমিশন।