মাতৃ বিয়োগের শোক সামলে দলের কাজে ফিরেছন অনুব্রত। গতকাল বিকেল ৩টে নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে দুটি জনসভা করার কথা ছিল মঙ্গলকোটের নিগন চটি ও কাশেমনগরে। কিন্তু সভা শুরু আগেই কালবৈশাখী শুরু হয়। ঝোড়ো হাওয়ায় নিগনে সভাস্থলের সামিয়ানা ভেঙে পড়ে যায়। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই মঙ্গলকোটের নিগনে সভাস্থলে এসে পৌঁছন অনুব্রতবাবু। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির জন্য দু’টি সভাই বাতিল করতে বাধ্য হয় মঙ্গলকোটের ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ২৬ এপ্রিল বিকেলে এই দু’জায়গায় অনুব্রতবাবু জনসভা করবেন বলে ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলকোটের সভায় অনুব্রত জানিয়ে দিলেন “কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ভোট করাতে এসে বিজেপির হয়ে কাজ করে, তাহলে তার ব্যবস্থা করে দেব। আধাসেনা সেনার কাজ করবে। তারা রাজ্যে ভোট করাতে আসছে, কাজ করবে। তারা যদি ভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করবে, তাহলে তার ব্যবস্থা করে দেব”। উল্লেখ্য, আধাসেনাকে বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করছে এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে প্রথম দিন থেকেই।
অনুব্রতবাবু আরও বলেন, আমি আগের বারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ভালো ভোট করানোর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলাম। এবারও পাব। কোথাও অশান্তি বাধাতে দেব না। এদিন দলীয় কার্যালয়ে ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়াকে পাশে বসিয়ে অনুব্রতবাবু বলেন, এবার ভোটে মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম থেকে ব্যাপক ভোটে লিড দিয়ে দেখিয়ে দেব।
কৈচরে দলীয় কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের অনুব্রতবাবু বলেন, আমি কাউকে কোনওদিন ভয় পাইনি। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ভয় পাই না। এরপরেই দিলীপবাবুর উদ্দেশ্যে বলেন, ও পাগল, কী বলছে আমার দেখে লাভ নেই। ও তো সব জায়গায় অশান্তি লাগায়। ও যদি আজেবাজে কথা বলে, ওরই পিঠে বাড়ি পড়বে। ফালতু লোক একটা। একেবারে বাজে লোক। ও এই ধরনের কথা বলে সব জায়গায়। ও ভদ্রতা জানে না। ভোটের দিন আসুক, মার্কেটে থাকুক। লোক নেই, জন নেই বড়বড় কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলকোটের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও যাঁরা আমাদের সভায় এসেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।