মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে গোটা বাংলা জুড়ে উন্নয়নের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন তাকেই এবারের ভোটে প্রচারের হাতিয়ার করছে তৃণমূল। অন্যথা হয়নি আরামবাগেও। আরামবাগ পুরসভা এলাকায় গ্রিন সিটি প্রকল্পের উন্নয়নকে সামনে রেখেই প্রচার করছেন প্রার্থী অপরূপা। তিনি জানালেন, “ আমরা ভোটের রাজনীতি করি না তাই আরামবাগে এত কাজ হয়েছে”।
গত দু’বছরে গ্রিন সিটি মিশনের আওতায় এই পুরসভা এলাকায় ২৬টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এদের মধ্যে কয়েকটি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। পুরসভা এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পের আওতায় আরামবাগ শহর সংলগ্ন এলাকায় যে সব উন্নয়ন হয়েছে সেগুলি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে, আরামবাগ বিধানসভা এলাকায় ভোটের মার্জিন বাড়াতে চাইছে তৃণমূল।
আরামবাগের পুরপ্রধান স্বপন নন্দী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও তাঁর প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভূগর্ভস্থ জলনিকাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বাম আমলে যেভাবে একটু বৃষ্টিতেই আরামবাগ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলের তলায় চলে যেত, এখন সেই যন্ত্রণা থেকে এলাকার মানুষকে অনেকটাই মুক্তি দেওয়া গেছে। বিদ্যুৎ–বিপর্যয় রুখতে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন চালু করা হয়েছে। এছাড়াও একগুচ্ছ প্রকল্প আমরা সাধারণ মানুষকে গত কয়েক বছর ধরে উপহার দিয়েছি। আমরা শুধু ভোটের সময় রাজনীতি করি না, সারা বছর কাজ করি। সেই কাজের ভিত্তিতে মানুষ ভালবেসে আমাদের ভোট দেবেন”।
তিনি আরও জানান, “ উন্নয়নের কথা আরামবাগের মানুষ সবাই জানেন। তাঁরা যা যা চেয়েছিলেন তার সবটা পেয়েছেন। তাই এবারের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার আরামবাগ বিধানসভা এলাকা থেকে গতবারের থেকেও বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকবেন”।
২০১৫–১৬ আর্থিক বর্ষে আরামবাগ পুরসভা গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পের আওতায় আসে। এরপর থেকে রাজ্য পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। পুরসভা সূত্রে থেকে জানা গেছে, সেই অর্থে খেলার মাঠগুলিতে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। বসন্তপুর, কালীপুর, বৃন্দারামপুর, সুজলপুর, জুবিলি পার্ক–সহ বিভিন্ন মাঠের চারদিকে এবং রাস্তায় আলো বসানো হয়েছে। এর ফলে এলাকার তরুণ ও যুব সম্প্রদায় খেলাধুলার মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। এর জন্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। যে সমস্ত পুকুরের পাশ দিয়ে রাস্তা রয়েছে, সেরকম দশটি পুকুরের পাড় মজবুত করে বঁাধানো হয়েছে। এর জন্য ৯০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি পার্কিংজোন, বাসস্ট্যান্ড–পুরসভা ভবন এলাকায় সিসি টিভি বসানো, বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০০টি স্ট্রিট লাইট বসিয়ে এলাকাকে আলোকিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে প্রায় ৪০টি হাইমাস্ট আলো লাগানো হয়েছে।