গত মাসে একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘ব্যাঙ্কের কাছে বিজয় মালিয়ার ৯০০০ কোটি টাকার ঋণ ছিল। কিন্তু সরকার গোটা দুনিয়া খুঁজে তাঁরর ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন উনি সমস্যায় পড়েছেন কারণ আমার প্রায় দ্বিগুণ অর্থ ফেরৎ নিচ্ছি।’ সেই কথার সূত্র ধরেই পলাতক কিংফিশার কর্তা এর আগে টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘আমি যে প্রতারক নই এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ আর এবার ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি মন্তব্যের দিকে আঙুল তুলে তাঁকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন মালিয়া।
দেশের বেসরকারি বিমানসংস্থাগুলির প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণের সমালোচনার পরের দিনই ফের মোদীর অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘মিথ্যেটা আসলে কে বলছেন?’ বুধবার মালিয়া তাঁর টুইটার অ্যকাউন্টে লিখেছেন, ‘ঋণ বাবদ আমার কাছ থেকে ব্যাঙ্কগুলি যে পরিমাণ টাকা চাইছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা তাঁর সরকার আমার কাছ থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে। আর স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলি অন্য কথা বলছে ব্রিটেনের আদালতে। কার কথা বিশ্বাসযোগ্য? কেউ না কেউ তো মিথ্যেটা বলছেনই।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও টুইটারে তিনি এ কথা লিখেছিলেন যে, ‘আমি বিনীত ভাবে জানাতে চাই আমি যে প্রতারক নই এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নিজের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যখন তাঁর সরকার ব্যাঙ্কের কাছে আমার যা দেনা তার থেকে অনেক বেশি অর্থ উদ্ধার করে নিয়েছে। আমি যে ১৯৯২ সাল থেকে ব্রিটেনের বাসিন্দা সেটা অবশ্য বেমালুম উপেক্ষা করা হয়েছে। আমি পালিয়েছি এটা বোঝাতে বিজেপিকে এমন বলতেই হত।’ আর গতকাল একের পর এক টুইট করেন মালিয়া।
গতকাল টুইট করে তিনি সমর্থন করেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েলকেও। যিনি দিন দুয়েক আগে কার্যত সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন ওই বেসরকারি বিমানসংস্থাটির সঙ্গে। ঋণভারে জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে মালিয়া সমর্থন করেন গোয়েলকে। তাঁর অভিযোগ, ‘বেসরকারি বিমানসংস্থা ও সরকারি বিমানসংস্থার মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে সরকার। কিংফিশার এয়ারলাইন্স ও জেট এয়ারওয়েজ, দু’টি সংস্থারই বেহাল দশার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার।’ ভোট মরশুমে মালিয়ার এমন টুইট-বোমা স্বাভাবিক ভাবেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদীর। অস্বস্তিতে বিজেপিও।