নরেন্দ্র মোদীর এনআরসি-র জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এনবিসি। বৃহস্পতিবার মালদার সামসিতে, উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী মৌসম বেনজির নুরের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, ‘ভোটের পর বিজেপিকে এনবিসি দেব। মানে ন্যাশনাল বিদায় সার্টিফিকেট’। এদিন এভাবেই বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা।
এদিনও ফের প্রণবপুত্র অভিজিৎ মুখার্জির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘মালদা আর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস আরএসএস এবং বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত করে নিয়েছে। আবু হাসেম খান চৌধুরি নিজের কেন্দ্র বা মালদাবাসীর সুবিধা অসুবিধায় নজর না দিয়ে নিজের ছেলের রাজনৈতিক পরিচয় তৈরিতে ব্যস্ত। মানুষের পাশে থেকে তাঁদের জন্য কাজ করতে চেয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মৌসম। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে কংগ্রেস’। মোদীকে কোনও ভোট না দিতে আবেদন জানিয়ে মমতা বললেন, ‘মোদীর বিরুদ্ধে একটা ভোট একটা গণতন্ত্রের থাপ্পড়’।
বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোথাও কোথাও সন্ধ্যা সাতটা থেকে টাকা বিতরণ হচ্ছে। চক্রান্ত হতে দেবেন না। পুলিসকে জানান। পুলিস পদক্ষেপ না করলে আমাকে বলবেন। না হলে মৌসমকেই বলুন।’
এরপর মালদার কালিয়াচকের মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মোয়াজ্জেম হুসেনের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘গণি খানের নাম ভাঙিয়ে আর কতদিন চলবে? সিপিএমের কাছে বিকিয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। তাই ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়েছিলাম। কংগ্রেস এবং সিপিএমকে ভোট দেবেন না। তাহলে বিজেপি শক্তিশালী হবে। রাজ্যে সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপিও আর ক্ষমতায় ফিরবে না। এবার দরকার জনগণের সরকার।’ কংগ্রেস বা বিজেপি নয়, এবার কেন্দ্রে তৃণমূলের নেতৃত্বেই সরকার গঠন হতে চলেছে বলেও জানিয়ে দেন আত্মবিশ্বাসী মমতা।