[Total_Soft_Poll id=”5″]
গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী হাওয়া দেখে ভোট মরশুমে এখন দিকে দিকে ছুটে চলেছেন নিজে জিততে এবং দলকে জেতাতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এর মধ্যে তাঁর প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রশ্ন,
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের খরচ জোগাচ্ছে কে? কংগ্রেস সভাপতি বলেন, টিভি, সংবাদপত্র সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদীর প্রচার চলছে। এত টাকা কোথা থেকে আসছে? টিভিতে একটি ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়। মোদীকে এত টাকা কে দিচ্ছে? কোনও ভাবেই তো মোদীর পকেট থেকে তা আসছে না।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
আক্রমণের সুর চড়িয়ে রাহুল বলেন, দেশের গরিবের টাকা লুট করে পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদী, মেহুল চোকসি এবং বিজয় মালিয়ার মতো ব্যক্তিদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যুবকদের বছরে দুই কোটি চাকরি, প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর একটিও তিনি পূরণ করেননি। উল্টে দেশের কৃষকদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আমি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। গরিবের অ্যাকাউন্টে ৭২ হাজার টাকা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
কংগ্রেসের এবারের প্রচারের ক্যাচলাইন ‘এবার হবে ন্যায়’। এই ‘ন্যায়’-এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে গরিবদের অ্যাকাউন্টে ৭২ হাজার টাকা জমা করার প্রকল্পের নামই ‘ন্যায়’। এই টাকা মধ্যবিত্তদের পকেট থেকে আসবে না। আসবে অনিল আম্বানি, মেহুল চোকসি, নীরব মোদিদের কাছ থেকে। একইসঙ্গে বলেন, বর্তমানে ২২ লক্ষ সরকারি পদ খালি পড়ে আছে। তা সত্ত্বেও দেশের বেকারত্ব গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি। কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে এই সব পদ পূরণ করা হবে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত পর্যায়ে কংগ্রেস সরকার আরও ১০ লক্ষ নতুন চাকরি তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[Total_Soft_Poll id=”7″]
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে কৃষিঋণ মকুবের প্রসঙ্গ তুলে রাহুল গান্ধী বলেন, যদি ধনীদের ঋণ মকুব করা হয়। তাহলে গরিব কৃষকদেরও ঋণ মকুব হওয়া উচিত। তিন রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার ইতিমধ্যেই সেই পথে এগিয়েছে। কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার ১০ দিনের মধ্যে গোটা দেশেই কৃষিঋণ মকুব হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। কৃষকদের জন্য পৃথক বাজেট তৈরি হবে বলেও জানান তিনি। শুধু তাই নয়, মোদী সরকারের বিগত ৫ বছরের কাজের সমালোচনাও করেন রাহুল। সেইসঙ্গে মোদীর কাছে তিনি তাঁর প্রচার র্যালিতে হওয়া বিপুল খরচের হিসেবও চাইলেন।