নতুন বছরে নতুন রূপে সেজে উঠছে কুমোরটুলি। সামনের বাংলার নতুন বছর। সেদিনই নতুন লুকে প্রকাশ পাবে পটুয়াপাড়া। কুমোরটুলি বললেই বাঙালির মনে কাজ করে এক অন্য অনুভূতি। সারাবছর পুজো পুজো ভাব। পরপর মাটির মূর্তি। কলকাতার এক অন্য হেরিটেজের নাম কুমোরটুলি। এবার সেই কুমোরটুলির গায়েই তুলির টান। সৌজন্যে চার জন বিখ্যাত থিম মেকার এবং কুমোরটুলির জনা ত্রিশেক বিখ্যাত মৃৎশিল্পী। উদ্দেশ্য ওয়ার্ল্ড আর্ট ডে এবং বাঙালির নতুন বছরের জোড়া সেলিব্রেশন।
পটুয়াপাড়াকে আরও প্রাণোচ্ছল করতে চলেছেন সুশান্ত পাল, পার্থ দাসগুপ্ত, সুমন চৌধুরী, সোমেন্দ্র মজুমদারের মতো শিল্পীরা। ইতিমধ্যেই কুমোরপাড়ার নতুন লুক অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। পটুয়াপাড়ার খোলসটাই পুরো বদলে গিয়েছে শিল্পীদের হাতে। কুমোরপাড়ার স্টুডিয়োয় শুধু রঙে এলোমেলো দাগ নয়, পুরো পাড়াটাই হয়ে উঠেছে রঙিন। বিভিন্ন রকমভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন শিল্পীরা। একটি হলুদ ট্যাক্সি পড়েছিল। সেটিকেও ক্যানভাস হিসাবে ব্যবহার করেছেন তাঁরা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করে এক সপ্তাহ ধরে মাঠে নেমে কাজ করছেন শিল্পীরা। যার ফল মিলবে ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল। ওই দুই দিনে একটা ভিডিও ডিসপ্লে করার পরিকল্পনা রয়েছে, সঙ্গে থাকবে আবহসঙ্গীত। শিল্পী সুশান্ত পাল বলেন, “এখানে কোনও নির্দিষ্ট বিষয় নেই। কুমোরটুলি আমাদের কাছে একটা ক্যানভাস। তার উপর আমরা আঁকছি। তবে কুমোরটুলির যে নিজস্বতা রয়েছে, সেটাকে বাঁচিয়ে রেখে আমরা কাজ করছি। কুমোরটুলি রঙ তুলির জায়গা, শিল্পের স্থান। তবু সেটা অনেক দিক থেকে বেরঙিন হয়ে রয়েছে। মানুষ যদি একটু রঙচঙে কুমোরটুলি দেখে তাহলে মানুষের ভালো লাগবে। আর তার সঙ্গে বিশ্ব আর্ট দিবস সেই বিষয়টাও ফুটিয়ে তোলা যাবে”।