রাম মন্দির নিয়ে চর্চা যেন শেষই হচ্ছে না। প্রতিদিনই এই ইস্যুতে কিছু না কিছু ঘটনা ঘটেছে। আর এইদিন এই রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ল বিজেপি ও তার শরিক দলগুলি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের হাজিপুরে।
কি ঘটেছিল? রামের জন্মদিনের সকালে নির্বাচনী রাজনৈতিক কর্মশালা চলছিল জোর কদমে। উপস্থিত ছিল এনডিএ সরকারের তিন শরিক দলের নেতারা। আলোচনা চলছিল রাম মন্দির তৈরি নিয়ে কথা। সভা চলাকালীন জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর নেতা সঞ্জয় বর্মা রামমন্দির নিয়ে কিছু বলতেই বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রে রে করে ওঠেন৷ তারপর শুরু হয় বিক্ষোভ৷ এর পরেই পাল্টা তেড়ে যান জেডিইউ কর্মীরা৷ শুরু হয় হাতাহাতি৷ নেতাদের লক্ষ্য করে টেবিল-চেয়ার ছুঁড়ে মারা হয়৷ ক্রমে তা বড় আকার নেয়৷
প্রসঙ্গত, বিজেপি তাঁদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে ফেললেও বিহারে তাঁদের শরিক দল জেডিইউ এখনও তাঁদের ইস্তেহার প্ৰকাশ করে নি। বিজেপির ইস্তেহারে রাম মন্দিরের ইস্যু আছে। আর যেহেতু জেডিইউ এখনও তাঁদের ইস্তেহার প্রকাশ না করায় তাঁরা এই ইস্যুতে বাধা দান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাম মন্দির ইস্যুতে নীতীশ কুমারের অবস্থান বিজেপির বিরোধী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবুও তিনি এনডিএ জোটেই রয়েছেন৷ এবং সেই জোটই লড়াই করছে৷ হাজিপুরের সংঘর্ষ রাজনৈতিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে৷ উল্লেখ্য গত লোকসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমার এনডিএ-র জোট থেকে সরে আসে। জোট করে আরজেডি-র সাথে। কিন্তু পরে এই জোট ভেঙে গেলে আবার ফিরে যায় এনডিএ-তে। কিন্তু নীতিশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির যে খুব একটা বনিবনা হচ্ছে না তা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। আর বিহারের এই প্রকাশ্য সংঘর্ষ-ই সেই সম্ভাবনা আরো উস্কে দিল। এমনিতেই গত কয়েকটি উপনির্বাচনে বিহারে অ-বিজেপি শক্তি বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে এনডিএকে।