বাংলায় গতকাল ছিল প্রথম দফা ভোট। আর তাই ছিটমহলে ছিল উৎসবের আমেজ। হবে নাই বা কেন? স্বাধীন ছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার ৭২ বছর পর তাঁরা সত্যিই স্বাধীন হল। পেল গণতন্ত্রের নৈতিক অধিকার। এই প্রথম কোচবিহারের ছিটমহলের মানুষ দেশের সরকার গড়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি কেউই। সাবেক ছিটমহলের এক বাসিন্দা ফরমান আলি জানান, “সুযোগ সুবিধার জন্য ভারতের উপর নির্ভর করলেও কার্যত সাংবিধানিক কোনো অধিকার ছিল না”। এই প্রথমবার দেশে সরকার গড়ার নির্বাচনে তাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে ভোটাধিকার পাবার পর তাঁদের উপর বেড়েছে রাজনৈতিক শিবিরগুলির প্রভাব। তবে সবকিছু ভুলে ছিটমহলের মানুষ মেতেছেন ভোট উৎসবে। এছাড়াও প্রথম ভোটাররা ভোট দেবার পর ছিলেন উচ্ছ্বসিত। এই প্রথম ভোট তাও আবার লোকসভা নির্বাচন। স্বভাবতই জীবনের প্রথম ভোট দিয়ে আনন্দিত তাঁরা।
ষাটোর্ধ্ব নওশের আলি জানালেন, “ভোট দেবার জন্য সকাল সাড়ে ছ’টার থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি”। তবে শুধু তিনিই নন, এই ভোট উৎসবের মেজাজে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সাবেক ছিটমহলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। উন্মাদনা কতটা ছিল তা বোঝা গেল রাবিয়া বিবির কথাতেই। তিনি জানালেন, “প্রথম ভোট দেব, তাই আগের রাতে খাবার বানিয়ে রেখেছিলাম। সকালে সবাই খেয়ে ভোট দিতে দাঁড়িয়েছি”। মধ্য মশালডাঙা ছিটমহলের ভোট কেন্দ্র ছিল মনসুখ শ্যাওড়াগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।