বছর দুই আগেও বহরমপুরের গোরাবাজার ছিল অধীর চৌধুরির খাস তালুক। কিন্তু সেকথা এখন ইতিহাস। গোরাবাজারে এখন মা-মাটি-মানুষের জয়জয়কার। সেখানে তৃণমূলের পতাকা পতপত করে উড়ছে। বুধবার সেই গোরাবাজারে জমজমাট প্রচার করলেন তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার। এই মিছিলে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এদিন তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার বলেন, “বহরমপুর শহরে যে ভাবে সাড়া পাচ্ছি তা ভাবা যায় না। গোরাবাজারে এক সময় কংগ্রেস ছাড়া কিছু ছিল না। আজ তৃণমূলের পতাকা ছাড়া কিছু নেই। নিজের স্বার্থের জন্য অধীর চৌধুরি ঘনিষ্ঠদের ঠেলে ফেলে দিয়েছেন। আমাদের অপমান করেছেন। তার ফল হাতে হাতে পাচ্ছেন। মানুষ আর তাঁর সঙ্গে নেই”।
এদিন কৃষ্ণনাথ কলেজের হস্টেলের মাঠ থেকে অপূর্বর সমর্থনে মিছিল হয়। অপূর্বর সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের তৃণমূল মহকুমা সভাপতি অরিত মজুমদার, শহর তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখার্জিরা। এই মিছিলে মহিলারা নিজে থেকে এগিয়ে এসে কেউ কেউ তৃণমূল প্রার্থীর কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে যান। কেউ বা মিষ্টি খাওয়ান। তৃণমূলের বহরমপুর মহকুমা সভাপতি অরিত মজুমদার সম্পর্কে অধীরের শ্যালক। অরিত বললেন, “এই সব এলাকা ছিল অধীরদার। তিনিই শেষ কথা বলতেন। এখন দেখুন, চারপাশে তৃণমূল ছাড়া কিছু নেই। মানুষ এখন তৃণমূলের সঙ্গে”। বহরমপুরের প্রচার সেরে অপূর্ব যান বেলডাঙার ঝনকা গ্রামে। এখানে মহিলাদের ভিড় ছিল দেখার মতো। এদিনের মিছিল জমিদারি, নিমতলা, জজকোর্ট মোড় হয়ে ভাগীরথীর পাড়ে থাকা কলোনি হয়ে এগিয়ে চলে। একদা এই জজকোর্ট, নিমতলা, মোহনের মোড় ছিল অধীরের খাস এলাকা। জজকোর্ট মোড়েই হয় অধীরের কালীপুজো। সেসব দিন শেষ। তার চিহ্নমাত্র নেই। এদিন সেই সব এলাকায় দেখা গেল তৃণমূলের মিছিলে মানুষের ঢল।