শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের কাছেই তিনি ‘দিদি’। বিজেপি বিরোধী ঐক্যকে মজবুত করার দায়িত্ব তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা। এর একটাই কারণ, তাঁর উন্নয়নের মন্ত্রেই আজ ‘এগিয়ে বাংলা’। মমতার বাংলাই আজ পথ দেখাচ্ছে গোটা দেশকে। তাই তাঁর নাম শুনলেই সম্মোহিত হয়ে পড়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ। যেমনটা এবার ঘটল আসামে।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
তৃণমূলের সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধে ৬টায়। ফিরহাদ হাকিম যখন হলে ঢুকলেন, তখন সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গিয়েছে। শিলচর আসনের প্রার্থী হিতব্রত রায় মঞ্চে ওঠার পরেও অসন্তোষ কমছিল না। এতটা দেরি! কিন্তু ফিরহাদ কোনও দিকেই তাকাচ্ছিলেন না। একমনে কী একটা যেন করছিলেন তাঁর মোবাইল সেটে। এতে আরও অধৈর্য হয়ে পড়ে জনতা। এমন সময় হঠাতই তিনি ‘সাউন্ড সিস্টেম অপারেটর’-কে বলে ওঠেন, মাইক্রোফোন দিন তো।
মাইক্রোফোন এগিয়ে দিতে দিতে শুধু দু’টো কথা শোনা গেল ফিরহাদের মুখে, ‘দিদি, সভা শুরু হবে তোমার মেসেজে।’ দিদি! শুনেই পুরো হল চুপ। এরপরই বলতে শুরু করলেন মমতা, ‘আসামে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়া আমি আজও মেনে নিতে পারি না। সে সময় তৃণমূল প্রতিবাদ করেছিল। আজও করছে। তখন আমি যে ভাবে পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছিলাম, আজও করছি।’
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, বাংলার ৪২টি আসনের সবকটিতেই তাঁরা জিতবেন। পাশাপাশি, আসাম থেকে কিছু সিট পেলে, তিনি চেষ্টা করবেন, এখানকার মানুষও যেন ভাল থাকেন। এবার দিল্লীতে সরকার গড়তে তৃণমূল বড় ভূমিকা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর পরে দলনেত্রী ফিরহাদকে নির্দেশ দেন, ‘তুমিও এই কথাগুলি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সকলকে বুঝিয়ে বলো।’ মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পেয়ে হাততালি যেন থামতেই চায় না। জনতার উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা সভাস্থল।
পরে ফিরহাদ বলেন, ‘বাংলাদেশি কি না পরীক্ষার জন্য যদি সকল বাঙালির নথি পরীক্ষা করা হয়, তবে তো পাকিস্তানি কি না খুঁজে দেখতে মনমোহন সিংহ, লালকৃষ্ণ আডবাণীদের নথিও দেখা উচিত। আর নথি পরীক্ষায় অসমিয়ারা ছাড় পাবে, শুধু বাঙালিদেরই তা দেখাতে হবে, এ কী রকম কথা? যদি এনআরসি করতে হয়, সকলের জন্য একই নীতি হওয়া উচিত।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘বাংলায় কত ভাষা, কত ধর্মের মানুষের বাস। সেখানে কেউ কাউকে বিদ্বেষের নজরে দেখেন না। তা হলে এখানে এমন কেন?’ এরপরই তিনি শিলচরবাসীর কাছে তৃণমূল প্রার্থী হিতব্রত রায়কে বিপুল ভোটে জেতানোর দাবি করেন।
[Total_Soft_Poll id=”3″]