চোরের বেশে চৌকিদার বা চৌকিদারের বেশে চোর, ব্যাপারটা একই। দেশকে ধ্বংস করতে মোদী এসেছেন। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে বাংলা তথা দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। সোমবার জেলায় দুটি নির্বাচনী জনসভা করে বিজেপিকে দেশ থেকে হটানোর ডাক দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক প্রথম সভা করেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের হিড়বাঁধ ব্লকের হাতিরামপুরে ও দ্বিতীয় জনসভাটি করেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয়পুর ব্লকের গোকুলপুরে। দুটি জনসভাতেই মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। হাতিরামপুরের জনসভায় দলীয় প্রার্থী, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গোকুলপুরের জনসভায় জেলা নেতাদের পাশাপাশি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী, মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা উপস্থিত ছিলেন।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
অভিষেক সভায় উল্লেখ করেন বাঁকুড়ার জল সঙ্কটের কথা। স্পষ্ট জানান, এই জেলায় শতাব্দীপ্রাচীন পানীয় জল সঙ্কটের সমাধান করেছে তৃণমূল সরকার। শুধু তাই নয়, জেলাজুড়ে রাস্তাঘাট, চারটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক, আইটিআই”। সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “সীতাকে হরণ করতে রাবণ এসেছিল সাধুর বেশে, মারীচ এসেছিল হরিণ বেশে। এখন দেশকে ধ্বংস করতে চোরের বেশে এসেছে চৌকিদাররা। এই চৌকিদারদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে দেশকে বাঁচাতে হবে”। তাঁর কথায় উঠে আসেন জঙ্গল মহলের কথা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “২০১১ সালে যখন মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল, তখন কী পরিস্থিতি ছিল এই জঙ্গল মহলের?” আর মমতা বন্দোপাধ্যায় এসেছেন অন্তত ৫০০ বার। তিনি একা আসেননি, সঙ্গে নিয়ে এসেছেন জেলা এবং রাজ্য প্রশাসনকে। পরিকল্পনা করে অনুন্নয়ন দূর করে ভরে দিয়েছেন উন্নয়নে”।
[Total_Soft_Poll id=”3″]