২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগেও ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ অবতারে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে সেবার তিনি ফেরি করেছিলেন ‘বিকাশ’-এর স্বপ্ন, দেশে আচ্ছে দিন আনার স্বপ্ন। দেশবাসীর কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে দু’কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরীর। কিন্তু বিগত ৫ বছরে তার কিছুই হয়নি। সবই জুমলায় পরিণত হয়েছে। মুখ পুড়েছে বিজেপির। তাই এবার মলাট বাদ দিয়ে ৪২ পৃষ্ঠার ইস্তাহারে ‘কর্মসংস্থান’ শব্দটি এসেছে ১২ বার। আর ‘চাকরি’ শব্দটি ৩ বার। কিন্তু কর্মসংস্থান বা চাকরির সংখ্যা নিয়ে বিজেপির ইস্তাহারে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
পাঁচ বছর আগে লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বছরে ২ কোটি নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা নিয়ে মোদীকে নিশানা করেছে দেশের সব বিরোধীরাই। কংগ্রেসের ইস্তাহারে রাহুল গান্ধীও কর্মসংস্থানের ওপর সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন। কিন্তু সোমবার বিজেপির ইস্তাহারে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-অরুণ জেটলিরা চাকরি তৈরি নিয়ে নতুন কোনও প্রতিশ্রুতির পথে হাঁটলেন না। ক্ষমতায় ফিরলে নরেন্দ্র মোদী নিজের তৈরি ২ কোটি নতুন চাকরির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে কী করবেন, তারও নির্দিষ্ট দিশা মিলল না বিজেপির ইস্তাহারে। ১২ বার কর্মসংস্থানের কথা এলেও, কোথাও তার সংখ্যার উল্লেখ মিলল না।
স্বাভাবিকভাবেই এই খামতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, রাজীব গৌড়াদের অভিযোগ, চাকরি তৈরি নিয়ে কথাবার্তাই বিজেপির ইস্তাহার থেকে উধাও। সুরজেওয়ালা বলেন, ‘মোদী বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার অর্থ, পাঁচ বছরে ১০ কোটি চাকরি। বাস্তবে এই পাঁচ বছরে চাকরির সংখ্যা ৪.৭ কোটি কমেছে।’ লোকসভা ভোটের প্রথম ভোটগ্রহণের মাত্র তিন দিন আগে বিজেপির ইস্তাহারে বলা বয়েছে, ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামোয় ১২৬ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে আসবে, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। রাহুলের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল। এবার বিজেপি নিজেই ১২৬ লক্ষ কোটি টাকার উৎস নিয়ে নীরব। দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্যই করা হয়নি ইস্তেহারে।
[Total_Soft_Poll id=”3″]