ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, ততই বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। এই মুহূর্তে দলের অন্দরে যেমন মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, তেমনি হাল খারাপ বিজেপির সংগঠনেরও। যার ফলে ভোটের মুখে এবার চূড়ান্ত অব্যবস্থার সম্মুখীন হলেন দলের কর্মী-সমর্থকরাই। রবিবার তেলেঙ্গানায় দলের হয়ে প্রচার করতে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু সেই সভাতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিজেপির সংগঠনের জীর্ণ দশা। সভায় অব্যবস্থার মুখে পড়ে সভাস্থল ত্যাগ করে একে একে বেরিয়ে যান শ্রোতারা।
সভায় নিজের মতো করেই হিন্দিতে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তাঁর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন রাজ্যের কর্মী-সমর্থকদের কাছে। কিন্তু একটি কথাও বোধগম্য হচ্ছিল না তাঁদের। কারণ সভায় হিন্দিভাষী যোগী উপস্থিত থাকলেও, ছিল না কোনও দোভাষী। যদি বক্তৃতার এক বর্ণও বুঝতে না পারেন, তাহলে থেকেই বা কী লাভ! আর তাই একপ্রকার ক্ষুব্ধ হয়েই সভার মাঝপথে বেরিয়ে যান একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর ফাঁকা মাঠেই বক্তব্য শেষ করতে হয় আদিত্যনাথকে।
প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গানার কামারেড্ডি জেলার ইয়ালারেড্ডিতে যোগীর সভায় আগত শ্রোতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন তেলুগু ভাষী গ্রামীণ মহিলা, যাঁরা হিন্দির হ-ও বোঝেন না। কিন্তু সে কথা কি মনেই ছিল না বিজেপির রাজ্য নেতাদের? কেন কোনও দোভাষীর ব্যবস্থা করা হয়নি? এমন সব প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে খোদ দলের অন্দরে। দোভাষী না থাকায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন যোগী নিজেও। আবার সভা ছাড়ার মুহূর্তে ক্ষুব্ধ এক মহিলা সমর্থকও বলেন যে, ‘উনি কী বলছেন, আমরা সেটার কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বিজেপি নেতারা আমাদের এতদূর নিয়ে এলেন, অন্তত একজন দোভাষীর ব্যবস্থা করতে পারলেন না!’ সবমিলিয়ে, বিজেপির সংগঠনের দুর্দশা ও চূড়ান্ত অব্যবস্থাই ফুটে উঠল গতকালের যোগীর সভায়।