বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বিজেপির এই অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠলেই, বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। ভয় দেখিয়ে, চমকে ধমকে তাঁদের চুপ করানোর চেষ্টা চলছে। মমতা যে ভুল কিছু বলেননি, আবারও মিলল তাঁর প্রমাণ। ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই বিরোধী নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে শুরু হয়ে গেছে আয়কর হানা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশির পর আয়কর এবার তামিলনাড়ুর চেন্নাই এবং শিবগঙ্গায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের বাড়িতেও তল্লাশির পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তোপ দেগেছেন চিদাম্বরম। তিনি অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারকে ধ্বস্ত করে দেওয়ার ছক কষছে বিজেপি। একগুচ্ছ টুইটে কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতার কটাক্ষ, ‘আমাকে বলা হয়েছে আয়কর দফতর আমার শিবগঙ্গা এবং চেন্নাইয়ের বাড়িতে তল্লাশির পরিকল্পনা করছে। আমরা সব তদন্তকারী দলকেই স্বাগত জানাচ্ছি। আয়কর দফতর জানে আমাদের কিছুই লুকনোর নেই। আগেও তারা এবং অন্য সংগঠন আমাদের বাড়ি খুঁজে গিয়েছে এবং কিছুই পায়নি। নির্বাচনী প্রচার ভেস্তে দেওয়ার ছক এটা। মানুষ দেখছে এই সরকারের চরম কান্ডগুলি এবং নির্বাচনী তাদের কড়া জবাব দেবে।’
এদিকে রবিবারের পর সোমবারও মধ্য প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জারি রয়েছে আয়কর দফতরের তল্লাশি। এদিন সকালে ফের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসার–অন–স্পেশাল–ডিউটি বা ওএসডি প্রবীণ কক্কর এবং কক্করের ঘনিষ্ঠ অশ্বিন শর্মার বাড়িতে তল্লাশি চলছে। হাওয়ালার মাধ্যমে প্রচুর বেআইনি নগদ টাকা উদ্ধারের খোঁজেই এই তল্লাশি বলে জানিয়েছে আয়কর। তবে ঠিক ভোটের মুখেই হঠাৎ বেআইনি নগদ টাকা উদ্ধারের জন্য আয়কর ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠছে কেন? এতদিন তারা কী করছিল? ইতিমধ্যেই এমন সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। যার কোনও উত্তর মিলছে না।