ক্যারিবিয়ান দৈত্য দেখিয়ে দিলেন যে কোনও সময়ে একাই ম্যাচের রং ঘুরিয়ে দিতে পারেন৷ গতকাল রাসেল ঝড়ে পুরো উড়ে গেল বিরাট বাহিনী৷ ১৩ বলে ৪৮ রানের যে ঝোড়ো ইনিংসটা খেললেন, আইপিএল-এর ইতিহাসে এই ম্যাচ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
রাসেল ক্রিকেটের নিয়মটাই তো বদলে দিচ্ছে। দু’জন ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন হচ্ছে না। ভালো বলটাও বড় ছক্কা মেরে দিচ্ছে। লো ফুলটস হোক বা বাউন্সার, সব ডেলিভারি সোজা গ্যালারিতে। দ্রে রাসই যে এই মুহূর্তে আইপিএলের সেরা ফিনিশার, এ নিয়ে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়। তবে এখনই গেইলের সঙ্গে তুলনা উঠে আসছে তবে এই তুলনার সময় আসেনি এখনও কারণ গেইল একটা লম্বা সময় ধরে বিধ্বংসী ব্যাট করে গিয়েছে। তাছাড়া গেইল ওপেনার, রাসেল ফিনিশার। দু’জনের এ ভাবে তুলনা হয় না।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে আরসিবি তুলেছিল ৩ উইকেটে ২০৫ রান। অধিনায়ক বিরাট কোহালি খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। এবিডি করেন ৩২ বলে ৬৩ রান। এই দুই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে আরও বেশি রান করতেই পারত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। মোক্ষম সময়ে কোহালি ও ডিভিলিয়ার্স ফেরায় আরসিবি থামে ২০৫ রানে। অবশ্য কোহালি ও ডিভিলিয়ার্সকে আরও আগেই ফেরানো যেত। নাইট ফিল্ডারদের সৌজন্যে দু’জনেই জীবন ফিরে পান।
দিনের শেষে রাসেলের নামের পাশে লেখা ১৩ বলে ৪৮ রান। মেরেছেন একটি বাউন্ডারি ও সাতটি ওভার বাউন্ডারি। শেষ দু’ ওভারে জেতার জন্য কেকেআর-এর দরকার ছিল ৩০ রান। সাউদির ওভারে আসে ২৯ রান। তার মধ্যে শুবমান গিল নিয়েছেন মাত্র এক রান। বাকি ২৮ রানই রাসেলের। সাউদির আগের ওভারে মহম্মদ সিরাজ বড়সড় ভুল করে বসেন। কোমরের উপরে দু’ বার বল করায় সিরাজকে আর বল করতে দেননি আম্পায়ার। সিরাজের ওভার শেষ করেন স্টয়নিস। রাসেলের নির্দয় মার থেকে বাঁচেননি তিনিও। সেই ওভারে আসে ২৩ রান। ওই রকম পাওয়ার হিটিংয়ে শেষ হয়ে গেল আরসিবি-র যাবতীয় প্রতিরোধ।