আসামের ধুবুড়ির জনসভা থেকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এনআরসি ললিপপ! সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বলে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বলছে অধিকার দেবে। আপনার সার্টিফিকেট আছে। কিন্তু আপনাকে বিদেশি করে দেবে ৬ বছর জন্য। ৬ বছর পর নাগরিকত্ব দেবে। এটা আরেকটা চক্রান্ত। আপনাকে বিদেশি করে আর ফেরত আনবে না’।
এবার আসামের মোট ৯টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলদই, নওগাঁও, জোড়হাট, করিমগঞ্জ, শিলচর, ধুবুড়ি, কোকরাঝাড়, বরপেটা ও গুয়াহাটিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ধুবুড়ির প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থনে এদিন জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন অসমীয়াতে বক্তৃতা শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতার শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আসামের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক চিরকালের’। জানান, ভূপেন হাজারিকার ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটি তাঁর খুব ভালো লাগে। এরপরই এনআরসি নিয়ে বিজেপি ও মোদী সরকারকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘৪০ লক্ষ লোকের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে। এদের বিদেশি বানিয়ে দেশ থেকে ভাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে আমরাই আন্দোলন করেছি। তখন কেউ পাশে ছিল না। আমাদের বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সংসদে এটা নিয়ে একমাত্র তৃণমূল লড়াই করেছে’।
বিজেপি ভাগাভাগির রাজনীতি করছে বলে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘ভাগাভাগির রাজনীতি করে ওরা ক্ষমতায় এসেছে’। তাঁদের এই রাজনীতি আর করতে দেবেন না বলে আর্জি জানিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপির ললিপপ আর খাবেন না। এই ললিপপ ধরিয়ে বিজেপি মানুষের গণতন্ত্র, অধিকার সবকিছু কেড়ে নেবে’।
জনগণের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘এক রাজ্যের লোক আরেক রাজ্য থাকতে পারে না? বোল্ডলি মিথ্যা কথা বলে। বোল্ড আউট করা উচিত। আমি যাতে না আসি, তার চেষ্টা করেছে আজ, কিন্তু আমি এসেছি। তৃণমূলকে একবার ভোট দিয়ে দেখুন, আমি সব জায়গা যাব’। মমতা সাফ জানিয়ে দেন, ‘বিপদে পড়লে আপনার জন্য বাংলার দরজা খোলা। আপনাদের পাশে আমরা আছি। দিল্লীতে বিজেপিকে বদলে দিন’। আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আসাম-বাংলা একসঙ্গে পথ দেখাই। আসামের বিপদ হলে বাংলা আছে’।