নতুন হয়েও দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন ভোটযুদ্ধ। কর্মীসভা, রোড শো, প্রচারে প্রথম থেকে ঝড় তুলছেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি। ক্রমশ হয়ে উঠছেন সকলের ঘরের মেয়ে, কাছের মেয়ে। চড়া রোদ উপেক্ষা করেই হাসি মুখে পৌঁছে যাচ্ছেন সকলের কাছে, এভাবেই মল্লিকপুরের বাসিন্দাদের মন জিতলেন মিমি।
চৈত্রের গনগনে রোদ্দুর মাথায় নিয়েই হুডখোলা গাড়িতে প্রচার–সফরে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর এভাবেই ঘুরলেন তিনি। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষ্যিত এলাকায় ঘুরে প্রচারে ঝড় তুললেন মিমি। তাঁকে শুধু একবার চোখের দেখা নয়, ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনার অঙ্গীকারও করেন এলাকার কর্মী ও স্থানীয় মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ মল্লিকপুরের ফরিদপুর এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন মিমি। সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। গয়েশপুর, গনিমা হয়ে মল্লিকপুরের পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকা ঘুরে বলরামপুরে গিয়ে মিমি প্রচার শেষ করেন। ‘ভাল আছেন তো? তৃণমূলে ভোট দেবেন। আমি কর্মী হয়েই পাশে থাকব।’ মিমির মুখ থেকে এই সামান্য দু–একটা কথা শোনার জন্য বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ওই রোদ মাথায় নিয়ে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
প্রচারের মধ্যেই মিমি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকটা আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। যেখানেই যাচ্ছি মানুষের সাড়া পাচ্ছি। মানুষের আশীর্বাদ আমার মাথায় আছে। বুঝতে পারছি। কর্মী হয়েই আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। এদিন সকালের পর বিকেলেও বারুইপুরের শঙ্করপুর–২ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যান প্রার্থী। গতকাল মিমি প্রথমে ফরিদপুর এলাকায় আসেন। কিশোর–কিশোরীদের ভিড়ের চাপে গাড়ি থেকে নামতেই পারেননি মিমি। তাঁর ছবি তোলার জন্য গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাউকেই নিরাশ করেননি মিমি। একবার হাত জোড় করে আবার হাত নেড়ে মিমি রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অগুণতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। কেউ কেউ মুঠো ভর্তি ফুল মিমির দিকে ছুঁড়ে দেন।
কিছুদিন আগেই মিমি জানিয়েছিলেন, “আগামী ১৯ মে ভোটের দিন রমজানের উপোস চলবে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, ওইদিন আমিও উপোস করব। বিকেলে আপনাদের সঙ্গেই তা ভাঙব”। গতকালের সভাতেও তিনি জানান, সবসময় মানুষের পাশে থাকবেন। এভাবেই সকলের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠছেন মিমি।