উত্তর কলকাতার ৯০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল ‘মিত্রা’ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টলি পাড়ায় শোকের ছায়া। কলকাতায় একের পর এক সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলা ছবির জন্য বড় ক্ষতি। সমালোচকরা বলছেন, মাল্টিপ্লেক্সের ধাক্কায় পাততারি গোটাতে হচ্ছে সিঙ্গল হল মালিকদের। কিন্তু এমনটা মনে করেন না মিত্রার মালিক দীপেন মিত্র। তাঁর মতে, লড়াইটা মাল্টিপেক্সের সঙ্গে না লড়াইটা নেটফ্লিক্সের সঙ্গে। কিন্ত সিঙ্গল হল গুলো কিভাবে লড়াই করবে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে? কি বা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ? সেই কথা জানালেন মিত্রা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হলের মালিক দীপেন মিত্র।
দীপেনবাবুর বয়স হয়েছে ৭৫ বছর। মিত্রাকে নিয়ে পরবর্তী কোনো পরিকল্পনা নেই। মিত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে তাঁর সহকর্মীদেরও। এই সব মিলিয়ে ‘এখন খবর’-কে দেওয়া একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে জানালেন তাঁর মনের কথা।
প্রশ্ন – সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাওয়া আটকাতে হল মালিকদের কী করা উচিৎ?
উত্তর – আসলে নিজের কোয়ালিটি দিয়ে নিজেকে ধরে রাখতে হয়। এটা আমার দুর্ভাগ্য যে মিত্রা বন্ধ হয়ে গেল। আর আমার শারীরিক অক্ষমতার জন্য সব টা সামতে উঠতে পারিনা। আমার বয়স এখন ৭৫ বছর। আমি আমার মত করে লড়ে গেছি। একটা হলের কাজে অনেক লোক লাগে। আমার সঙ্গে যারা যুক্ত আছে তাঁরা আমার সহকর্মী, আমার পরিবার। দর্শকের অভাবে স্থগিত হয়ে যাচ্ছে এই হল গুলো।
প্রশ্ন – মাল্টিপ্লেক্সের সঙ্গে টেক্কা দিতে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলির কী করনীয়?
উত্তর – আপনাদের কি মনে হয়, মাল্টিপ্লেক্সের সঙ্গে সিঙ্গল স্ক্রিনের কোন দ্বন্দ্ব আছে? আর সব মাল্টিপ্লেক্সে দর্শক আসন ভর্তি থাকে সবসময়? আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে, সিঙ্গল স্ক্রিন বা মাল্টিপ্লেক্স নয়, এখন নেটফ্লিক্সের যুগ।
প্রশ্ন – প্রায় ৯০ বছরের পুরোনো হল, কতটা আবেগতাড়িত?
উত্তর – আমার সহকর্মীরা আমার পরিবারের মতো। এতদিন ধরে এই হল চালাচ্ছি। খারাপ লাগছে, শোকাহত।
প্রশ্ন – ‘মেট্রো’ খুলেছে সম্প্রতি, এর মত ভবিষ্যতে মিত্রাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে ?
উত্তর – ‘মেট্রো’ খুলেছে কিনা বলতে পারবো না। তবে মিত্রাকে নিয়ে এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।