ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির লড়াই নয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির লড়াই। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই। আর এই লড়াইয়ের সেনাপতি হিসেবে বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই যে চায় দেশের শীর্ষ বিজেপি বিরোধী নেতারা, তা ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের ইউনাইটেড র্যালির মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয় তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রকাশ্যেই এ কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ২০১৯-এ মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। আর এবার গোটা বাংলাই জানিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতাই প্রথম পছন্দ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই দিল্লীর কুর্সিতে দেখতে চান রাজ্যবাসী। এমন তথ্যই এবার উঠে এল এবিপি-নিয়েলসন-এর যৌথ সমীক্ষায়।
প্রসঙ্গত, সমীক্ষার বিষয় ছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে পছন্দ বাংলার মানুষের। সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল রাজ্যের বহু মানুষ। এবং তাঁদের সকলকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়। সেই মতোই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নিজের নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছেন সকলে। এবং সমীক্ষার ফল আসতেই দেখা গেল মমতাকেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চান রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ মানুষই মমতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সেখানে মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ। আর রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য পছন্দ মাত্র ১১ শতাংশের।
তবে সমীক্ষার এমন ফল প্রত্যাশিতই ছিল তৃণমূলের কাছে। কারণ ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রের হাল বদলে দিয়েছেন মমতা। প্রতি বছর বিজনেস সামিট করে বাংলায় এনেছেন লগ্নীর জোয়ার। শুধু তাই নয়, তাঁর আমলে হাল ফিরেছে রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রেও। উন্নতি হয়েছে কৃষকদেরও। বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রকেও খোলনলচে বদলে ফেলেছেন তিনি। রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুতের সমস্যা মিটিয়ে রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও পৌঁছে দিয়েছেন উন্নয়নের আলো। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলার উন্নয়নের কান্ডারী মমতাকেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চান রাজ্যের মানুষ। তাঁরা চান, শুধুমাত্র এ রাজ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গোটা দেশজুড়েই তাঁর উন্নয়নের আলো পৌঁছে দিক বাংলার অগ্নিকন্যা।