এ বছরের আইপিএলে তিনটে ম্যাচ খেলে তিনটেতেই হারল আরসিবি। দলটার পিছনে আশিস নেহরা ও গ্যারি কার্স্টেনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক থাকলেও তিন ম্যাচের একটিতেও ঠিক করতে পারেনি পার্থিব পটেলের সঙ্গী ওপেনার কে হবে? কোনও দিন বিরাট কোহালি, কোনও দিন মইন আলি। গতকাল যেমন সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে খেলানো হল সিমরন হেটমায়ারকে। আরসিবি দলটায় না আছে অলরাউন্ডার, না আছে ভাল বোলার। আর তারই সুযোগ নেয় সব প্রতিপক্ষ। দলটার সব পরিকল্পনা যেন বিরাট কোহালি আর এ বি ডিভিলিয়ার্সকে নিয়ে। ওরা খেললেই যেন দল জিতে যাবে। বিরাট বা ডিভিলিয়ার্স নিজেদের সেরাটা দেয়। কিন্তু রোজ রোজ এই দু’জনের পক্ষে জেতানো সম্ভব নয়। রবিবার হায়দ্রাবাদে যেমন নিল ডেভিড ওয়ার্নাররা। কুড়ি ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তুলল সানরাইজার্স।
ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো ঝড় নিয়ে যেমন কথা চলছে, তেমনই চলছে বিরাটদের ব্যাটিং-ধ্বস নিয়েও। ২৩২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আরসিবির। উপ্পলের উইকেট চেন্নাই ম্যাচের মতো ছিল না। আরসিবিকে শুরুতে ভাঙেন আফগানিস্তানের অফস্পিনার মহম্মদ নবি। ৪ ওভারে ৪ উইকেট। তিন ম্যাচের দুটোতে জিতে ভালোই শুরু করল হায়দ্রাবাদ। চার মিনারের শহরে রবিবার অবশ্য যত কথা জনি বেয়ারস্টো আর ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়েই হল। আইপিএলের ইতিহাসে একঝাঁক নতুন রেকর্ডের জন্ম দিয়ে গেলেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার। বেয়ারস্টো ৫৬ বলে করেন ১১৪। মেরেছেন ১২টা চার ও ৭টা ছয়। আর ওয়ার্নার ৫৫ বলে করেছেন ১০০ নট আউট। ৫টা চার ও ৫টা ছয় দিয়ে সাজানো বিস্ফোরক ইনিংস। ওয়ার্নার সঙ্গে নতুন রেকর্ড করার পর জনি বেয়ারস্টো ওপেনিং পার্টনারকে নিয়ে বলেছেন, “ও গ্রেট ক্রিকেটার। ভারতের অন্যতম বড় ক্রিকেট মাঠ এটা। কিন্তু যে ভাবে ওয়ার্নার বল হিট করেছে, অসাধারণ। ওর সঙ্গে ব্যাট করার অভিজ্ঞতাই আলাদা”।