স্বচ্ছতার প্রশ্নে আবারও দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে টেক্কা দিল মমতার তৃণমূল। ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানতে চেয়ে এক সমীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেল একমাত্র তৃণমূলেই সঠিক পথে আয় হয়। যেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিতে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আসে।
জানা গেছে, তৃণমূলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫.২ কোটি টাকা। যার সবটাই সোজা পথে আয় হয়। সূত্রের খবর, দলের সদস্যদের চাঁদা, অনুদানেই তৃণমূলের আয় হয়। এবং কোনও অনির্দিষ্ট সূত্রে মমতার দলে টাকা আসে না।
আয়ের স্বচ্ছতায় যেমন এগিয়ে তৃণমূল তেমনই বিজেপির আয়ে সবচেয়ে বেশি অস্বচ্ছতা। ৪৯ বছরের দল হলেও অনির্দিষ্ট সূত্রে আয়ের ক্ষেত্রে কংগ্রেসকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। জানহা গেছে, বিজেপির মোট আয়ের পরিমাণ ১০২৭ কোটি টাকা, আর এর মধ্যে ৫৫৩ কোটি টাকাই অনির্দিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে আসে।এই ভাবে বিজেপির আয় বেড়েছে প্রায় ৯৬%। আসন্ন লোকসভা ভোটের খরচ হিসাবে বিজেপির বরাদ্দ ৫৬৭ কোটি টাকা।
৫ বছর মসনদে না থাকলেও অর্থ ভাঁড়ারে টান নেই কংগ্রেসের। হাতে আছে ১৯৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে অজ্ঞাত সূত্রে আয় ১২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রশাসনিক কাজে বরাদ্দ মাত্র ৮৬ কোটি টাকা।
সিপিএম আরও এগিয়ে। বামেদের মোট সম্পত্তি ১০৫ কোটি টাকা তবে এই আয়ের উৎসই জানা যায়নি। পিছিয়ে নেই বহুজন সমাজ পার্টিও। তাঁদের মোট ৫১ কোটির সম্পত্তির ১০ কোটিই এসেছে অজ্ঞাত সূত্রে।
কিন্তু মোদীর আমলে গৌরী সেন কে? জানা গেছে, ডিএলএফ গ্রুপ, ভারতী গ্রুপ, শ্রফ গ্রুপ, আদিত্য বিড়লা গ্রুপ, ক্যাডিলা গ্রুপ টরেন্ট ইত্যাদি গ্রুপ বেশ ভালো অঙ্কের টাকা দিয়ে থাকে রাজনৈতিক দল গুলিকে। এই খানেই ফের জিতে গেলেন মমতা। যেখানে সমস্ত দলগুলি অজ্ঞাত সূত্রে প্রচুর অঙ্কের সম্পত্তি করে নিচ্ছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততা ওপর ভরসা রেখেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর উন্নয়নের রথ।