৩১ জানুয়ারি কলকাতায় এসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ও কমিশনার অশোক লাভাসা। তাঁরা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। তাদের বক্তব্য শোনেন। তারপর জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ১ ফেব্রুয়ারি তাঁরা দিল্লি ফিরে যান। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনও কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এপ্রিলে কলকাতায় আসছে। দিল্লির নির্বাচন কমিশন একথা জানিয়েছে। সেই মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
কলকাতা ও রাজ্য জুড়ে ফ্লাইং স্কোয়াডের গোয়েন্দারা নজরদারিতে নেমে পড়েছেন। দিল্লির নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, অতীতে যারা ভোটে গোলমালে অভিযুক্ত, তাদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোথাও চোলাই মদ, গাঁজা, মাদকদ্রব্য নিয়ে অভিযোগ এলে সেগুলি খুঁজে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে হবে। কমিশনের কাছে খবর এসেছে, উত্তর কলকাতার কয়েকটি থানায় তিন বছরের বেশি কাজ করছেন কিছু কর্মী। তাঁদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা এবং কমিশনার সুশীল চন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ও কমিশনের অন্য আধিকারিকরা আসবেন। বাবুল সুপ্রিয়র শো–কজের জবাবে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন, তাঁর কাছে ফের উত্তর চাওয়া হয়েছে। তাছাড়াও বেশ কয়েকবার আদর্শ নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।