গতকাল সকালে জলপথে কলকাতা-ঢাকা প্রথম প্রমোদতরী ‘আরভি বেঙ্গল গঙ্গা’ ক্রুজটি মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করল। বেসরকারি সংস্থা এক্সটিক হেরিটেজ গোষ্ঠী এই পরিষেবা শুরু করেছে। যারা ইতিমধ্যেই গঙ্গা ভয়েজার লাক্সারি ক্রুজ চালায়। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জলপথে পণ্য পরিবহণ হলেও জলপথে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭০ বছর আগে। গত বছর অক্টোবর মাসে দুই দেশের মধ্যে জলপথে যাত্রী পরিবহণের পরিষেবা শুরুর জন্য এক চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী দীর্ঘ ৭০ বছর পর জলপথে কলকাতা-ঢাকা যাত্রী পরিবাহী ক্রুজ পরিষেবা শুরু হল। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনীত অরোরা জানিয়েছেন, “এদিন সকাল ১০টায় ক্রুজটি কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ-এর উপকূল শিপিং রুট মেনে আরভি বেঙ্গল গঙ্গা জলপথ পাড়ি দেবে। আগামীকাল রবিবার সুন্দরবনের হেমনগরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে জাহাজটি”।
আরভি বেঙ্গল গঙ্গা ক্রুজটি কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে সুন্দরবন হয়ে রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। মোট ১০ দিনের ট্রিপে মোংলা বন্দর, বরিশাল, চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে জাহাজটি। হুগলি, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে মোট ১৫৩০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে আরভি বেঙ্গল গঙ্গা। জাহাজটিতে মোট ২৮টি ঘর রয়েছে। তিন শ্রেণী ঘরে মোট ৫৬ জন থাকতে পারবেন। আপার ডেক-এ থাকা প্রিমিয়াম ঘরগুলিতে রয়েছে দু’টি বড় বারান্দা। ওই ঘরে বার্মা সেগুনের তৈরি খাটের বিছানায় শুয়ে থেকেই নদীপথের সৌন্দর্য্য চাক্ষুষ করা সম্ভব। রয়েছে অত্যাধুনিক ডাইনিং রুম, যার জানালাগুলি এতটাই প্রশস্ত যে জিভে জল আনা খাবার খেতে খেতেই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ।
অন্যদিকে এ দিনই বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের পাগলা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন-এর ক্রুজ। যাত্রী প্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১৫০০ বাংলাদেশি টাকা থেকে ১৫,০০০ বাংলাদেশি টাকা। তারা এই পথে এমভি বাঙালি ও এমভি মধুমতী নামে দুটি পর্যটক ক্রুজ চালাবে।