মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাফল্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণকে পাবলিসিটি স্টান্ট বলেই দাবি করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর ‘মিশন শক্তি’ নিয়ে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘সব ক্রেডিট ডিআরডিও-র। মোদী ভোটের ফায়দা তোলার জন্য আজ পাবলিসিটি করেছেন।’ মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি এবং গোটা দেশের বিরোধীরা। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। ‘মিশন শক্তি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের ক্লিপিংস বা ভিডিও কোথা থেকে পাওয়া গেল? দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর কাছে এবার এই মর্মে জবাব চাইল তারা।
গতকাল এক প্রশ্নের উত্তরে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা জানালেন মিশন শক্তি নিয়ে ঘোষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা খোদ প্রধানমন্ত্রী কমিশনের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেননি। তবে আদৌ এটি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে কিনা, এ নিয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন। উল্লেখ্য, মিশন শক্তির ঘোষণার বিচার করতে সন্দীপ সাক্সেনার নেতৃত্বেই তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে কমিশন। গতকাল সেই কমিটি বৈঠকেও বসেছিল। তবে ততক্ষণেও দূরদর্শন বা অল ইন্ডিয়া রেডিওর কাছ থেকে কোনও জবাব আসেনি বলে জানান সাক্সেনা। সন্ধ্যের সময় সেই জবাব এসেছে।
তবে শুধু মিশন শক্তির বিষয়টিই নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মজীবনীমূলক যে হিন্দি ছবি মুক্তির অপেক্ষায়, তা নিয়ে অভিযোগ আসাতেও উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ছবিটির চার প্রযোজক-সহ বিজেপির কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রেলওয়ে এবং এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকায়, ওই দুই সংস্থার কাছে জবাব চেয়েছে কমিশন। কার নির্দেশে ওই ছবি ছাপা হয়েছে এবং বিক্রি করা হয়েছে, তা জানাতে হলা হয়েছে। যে কারণে এই মুহূর্তে চরম অস্বস্তিতে মোদী সরকার।