মিমির জন্যে অপেক্ষায় ছিল গোটা ভাঙড়। ভাঙড়ের ভোজেরহাট ফুটবল মাঠে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর কর্মিসভায় ভাঙড় ২ নম্বর এবং ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী এদিন অবশ্য তাঁর বক্তব্যের সময় মঞ্চ থেকে নেমে দু’ধারের দর্শকদের কাছে পৌঁছে যান। সরাসরি তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। ভাঙড়ের বুকে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর কর্মীসভাই ভাঙন ধরাল জমি কমিটিতে।
ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সাব–স্টেশন বিরোধী আন্দোলনের নেতা সুকুর আলি প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর কর্মীসভায় এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পর তিনি মিমিকেই ভোট দেওয়ার আবেদন করেন। মিমি তাঁকে নয়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁর হাত শক্ত করার কথা বলেন।
এই সভায় মিমি ছিলেন অনেকটাই সাবলীল। জড়তা কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে এদিন তাঁকে মঞ্চে বক্তব্য পেশ করতে দেখা যায়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে তিনি কয়েক লাইন গান গেয়েও শোনান কর্মীদের। তিনি স্পষ্ট বলেন, যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। তাই যাঁরা মনে করছেন, অভিনেত্রী হিসেবে আমি মাটিতে পা রাখব না, তাঁদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
মিমি চক্রবর্তী মঞ্চে পা দেওয়ার পর কর্মীদের মধ্যে ভয়ঙ্করভাবে উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। তখন নেতা ও মন্ত্রী থেকে গোটা মঞ্চ ও কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের রাশ চলে যায় মিমির হাতে। শ’য়ে শ’য়ে মোবাইল ক্যামেরা অন করে ছবি তুলতে থাকে সকলে। অনেকে মঞ্চের একেবারে কাছে আসার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু করে দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরাও ছবি তোলার জন্য ডিউটি ছেড়ে মঞ্চের সামনে চলে আসেন। এরপর মিমি চক্রবর্তী ঠিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় মাউথপিস্কার হাত নিয়ে স্টেজের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, কখনও দুম করে নীচে নেমে জনতার মধ্যে চলে যাওয়াতে উন্মাদনা আরও বেড়ে যায়। মিমি জানান, “আপনাদের সুখ-দুঃখের শরিক হওয়ার জন্য কর্মী হিসেবে সকলের পাশে থাকার জন্য প্রার্থী হয়েছি।”