আসন্ন লোকসভা ভোটে আরামবাগ লোকসভা থেকে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার। হুগলি মহসিন কলেজ ছাত্র–যুব রাজনীতি করতে গিয়ে পরিচয় মহম্মদ সাকির আলির সঙ্গে। বিয়ের পর অপরূপা আফরিন আলি নামে পরিচিত হন। অপরূপার মেয়ের নামকরণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ের নাম দিয়েছেন আফসা। আফসার বয়স এখন চার আর তার ভাই পড়ে ক্লাস থ্রি-তে।
অপরূপা ২০১০–এ রিষড়া পুরসভায় কাউন্সিলর হন। অপরূপা বললেন, ‘দিদি আমাকে ২০১৪ সালে আরামবাগ থেকে লোকসভার প্রার্থী করেন। আমি যখন প্রথম কাউন্সিলর হলাম, সেই সময় রিষড়ার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বৃষ্টির জল জমে থাকত। রিষড়া আন্ডারপাসের কাজ তৎকালীন মন্ত্রী অধীর চৌধুরি শুরু করতে দিলেন না। প্রবল বাধা দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও জানালেন, গত ৫ বছরে সাংসদ তহবিলের সব টাকা খরচ করতে পেরেছি। ক্ষীরপাই পুরসভার কমিউনিটি হলের জন্য টাকা দিয়েছি। চন্দ্রকোনা কলেজকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। গোঘাট, আরামবাগ স্কুলেও টাকা দেওয়া হয়েছে। খানাকুলে কয়েকটি ব্রিজ করতে পেরেছি। আরামবাগ এলাকায় প্রায় সব বিধানসভায় রাস্তা কংক্রিট করা হয়েছে। গোঘাটের পশ্চিমপাড়ায় ব্রিজ করেছি। কয়েকটি মাটির স্কুল পাকা করা হয়েছে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ আশ্রমে টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজা রামমোহন রায়ের জন্মভিটে সংস্কারের জন্য দিদি টাকা দিয়েছেন।’
অপরূপা বিয়ের আগে থাকতেন চন্দননগরে। এখন থাকেন রিষড়ায়। রিষড়ার বাড়িতে রয়েছে হাঁস, মুরগি। প্রতিদিন তাদের পরিচর্যা করেন অপরূপা। বাড়ির ছাদে লাগানো হয়েছে ফুল ও নানা সবজির গাছ। টবে হয়েছে পালং শাক। রিষড়ার বাড়িতে যখন থাকেন, তখন নিজেই রান্না করেন। রান্না শিখেছেন মায়ের কাছ থেকে। বিশেষ খাবার রান্না করার আগে নেট খুলে একবার দেখে নেন। অপরূপা বলেন, ‘টিভিতে যখন রান্না নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হয়, তখন আমি দেখি। স্বামীর মাছের ঝোল, পোস্ত ওঁর খুব প্রিয়। আমারও।’