বাংলার ক্ষমতায় এসে শ্রমিকদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ফলশ্রুতি গত সাত বছরে শ্রমিকদের জন্যে নেওয়া একাধিক উদ্যোগ এবং তাঁদের অবস্থার উন্নতি।
মমতার চেষ্টাতেই নেওয়া হয়েছে মেয়েদের জন্যে বিশেষ উদ্যোগ। দেশের মধ্যে এই প্রথম একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েদের স্নাতক স্তরের শিক্ষা অথবা দক্ষতা উন্নয়নমূলক শিক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এই স্কিমে তারা বিয়ের আগে পর্যন্ত শিক্ষা ও দক্ষতা শেষ করতে পারেন, যাতে উচ্চশিক্ষা প্রাপ্ত হবে ও অল্প বয়সে বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে।
তাছাড়াও অসংগঠিত ক্ষেত্রের পাঁচটি বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পকে পয়লা এপ্রিল ২০১৭ থেকে একটি অভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১.০১ কোটি শ্রমজীবী মানুষ এই প্রকল্পের অধীনে সামাজিক মুক্তি কার্ডের সুযোগসুবিধা পেয়েছেন। এই খাতে মোট ১,২৭৪.২৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
যুবশ্রী প্রকল্পের অধীনে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত রাজ্যের ১ লক্ষ কর্মপ্রার্থী যুবককে মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও পূজা ও ইদে অনুদান বাবদ আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা বছরে দেওয়া হচ্ছে। এই খাতে সরকার ১৩,২৭১ জন শ্রমজীবী মানুষকে ২০১৮’র আক্টোবর পর্যন্ত ১৮.৩৫ কোটি টাকা দিয়েছে।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যখাতেও নজর দিয়েছেন মমতা। সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের চিকিৎসার সুবিধার্থে বার্ষিক চিকিৎসা বিমা ১০ হাজার টাকার জায়গায় বার্ষিক ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অপারেশনের ক্ষেত্রে বছরে ৬০ হাজার টাকা এককালীন সুবিধা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।